পুরুলিয়া ভ্রমণ প্ল্যান । Purulia Tour Plan ।Purulia tour Guide ।

 - :পুরুলিয়া ভ্রমণ গাইড :-

ভ্রমণ পিপাসু :- ভ্রমণ পিপাসু বাঙ্গালির ঘুরতে যেতে কোনো উপলক্ষের দরকার হয়না। একটু টাইম পেলেই হলো বাঙালিরা বেরিয়ে পড়ি, তবে সেই ট্যুর ছোটো এক, দুদিনেরই হোক না কেনো, সেইরকম একটা কম দিনের ছোট কিন্তু পয়সা উসুল ট্যুর নিয়ে আজকে আমার এই ব্লগ।

পুরুলিয়া কিন্তু বলতে গেলে সৌন্দর্যের খনি জেলার প্রায় প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সুন্দর সুন্দর সব স্পট, কিছু কিছু স্পট এখনো সেভাবে পর্যটকদের সংস্পর্শে আসেনি। তাই পুরুলিয়া জেলা সম্পূর্ন রূপে কভার করতে হলে আপনার একবার এসে তা শেষ করা কোনোদিনই সম্ভব না। আপনাকে পুরো পুরুলিয়া ভালো ভাবে ঘুরতে হলে অন্তত তিন থেকে চারবার এখানে আসতে হবে তার সাথে সাথে পুরুলিয়ার বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল বা এলাকা গুলো সম্পর্কে একটু ধারণা রাখতে হবে তাহলে খুবই সহজে আপনারা কোনো ট্রাভেল অপারেটর ছাড়াই ঘুরে নিতে পারবেন। সেই উদ্দেশ্যেই আমার এই ব্লগ। আমার সব গুলো ব্লগেরই উদ্দেশ্য থাকে যাতে আপনারা নিজেদের প্ল্যানে কোনো ট্রাভেল এজেন্ট ছাড়াই ঘুরে বেড়ানোর সমস্তরকম সহায়তা করা, এই ব্লগেও তার অন্যথা হয়নি। এই ব্লগে থাকবে পুরুলিয়া ভ্রমণের সমস্ত তথ্য, থাকা, খাওয়া থেকে শুরু করে আসা যাওয়া মিলিয়ে সমস্ত কিছুই, চলুন তাহলে এক এক করে পয়েন্টের আকারে আমরা জেনে নি। 


বাংলা ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তে অবস্থিত এই জেলা কিন্তু আগে বিহারের অংশ ছিল। পরবর্তীতে অনেক আন্দোলনের পর বিহারের মানভূম জেলার কিছুটা অংশ নিয়ে পুরুলিয়া জেলা গঠন করে তা পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। প্রকৃতি যেনো নিজের মনের মত করে সাজিয়েছে এই পুরুলিয়াকে, আমি আগেই বলেছিলাম পুরুলিয়া যদি ভালো মত করে ঘুরতে চান তাহলে পুরুলিয়ার বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চল বা এলাকা যাদের পর্যটনের ফিল্ডে সার্কিট বলা হয়, সেগুলো সম্পর্কে একটু জেনে থাকা ভালো।

পুরুলিয়ার পর্যটন সার্কিট :- পুরুলিয়ার পর্যটন এলাকা গুলোকে যদি আমরা কয়েকটি সার্কিটে ভাগ করে নি, তাহলে কিন্তু দেখতে পাবেন যে পুরুলিয়া সফর করা অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে, এই পয়েন্টে সেই সার্কিট গুলো নিয়ে একটা সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো -

১. অযোধ্যা পাহাড় ও বাঘমুন্ডি সার্কিট।

২. রঘুনাথপুর ও গড় সার্কিট।

৩. ঝালদা সার্কিট।

৪. পুরুলিয়া শহর ভিত্তিক সার্কিট।

অযোধ্যা পাহাড় ও বাঘমুন্ডি সার্কিট :- পুরুলিয়া ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় সার্কিট হলো এই অযোধ্যা পাহাড় ও চার পাশের এলাকা। পুরুলিয়ায় যতো পর্যটক এসে থাকে তার বেশিরভাগটাই এই সার্কিট এসে থাকে, এক তো এই এলাকার সৌন্দর্য সত্যি অবর্ণনীয় তার সাথে সাথে পাহাড়, জঙ্গল, ঝর্ণা, মেঠো পথ, পলাশের সমারোহ, মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন প্রকল্প, জলাধার, সুন্দর সুন্দর থাকার জন্য কটেজ হোটেল, টেন্ট কি নেই এখানে। চলুন এবার একে একে এই সার্কিটের মধ্যে অবস্থিত স্পট গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

অযোধ্যা সার্কিট ভালো ভাবে দেখতে হলে আপনাকে মোটামোটি দুদিন তো দিতেই হবে। তবে এই সার্কিটের সমস্ত এলাকা এবং পাশেই অবস্থিত ঝালদা সার্কিটের কিছু জনপ্রিয় এলাকা ভালো ভাবে কভার করতে হলে দুরাত্রি তিন দিন সবচেয়ে বেস্ট। আপনি যদি মোটামোটি ৩ দিনের ছুটি নিয়ে আসতে পারেন তাহলে এই পুরো এলাকা খুবই সুন্দর ভাবে ঘুরে নিতে পারবেন। এক বা দুদিনেও করা যায় তাতে কিন্তু কিছু কিছু জায়গা ছাড়া পরে যাবে।

এই সার্কিটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্পটগুলো হল অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপ, আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম, বামনি ফলস্, তুর্গা ফলস্, ময়ূর পাহাড়, উলুসডুংরি লেক, মার্বেল লেক প্রভৃতি।


অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপ থেকে নিচের ফুটহিলস্ এ যেসব সাইটসিং স্পট গুলো আছে সেগুলো হলো মাঠা পাহাড়, পাখি পাহাড়, বাঘমুন্ডির চরিদা গ্রাম বা ছৌ মুখোশের গ্রাম,চ্যামটাবুরু, খয়রাব্যাড়া ড্যাম, গোর্গাবুরু পাহাড়, পালডি লেক প্রভৃতি, তার সাথে ঝালদার মুরগুমা ড্যামকেও এর সাথে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এরপর আপনারা চাইলে দুয়ারসিনির দিকেও যেতে পারেন দুয়ারসিনির মোহময়ী জঙ্গল, দোলাডাঙ্গা, বান্দায়ান প্রভৃতি ।

গাড়ি ভাড়া বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে এই এলাকা গুলো ঘুরতে প্রায় দুদিন তো লেগে যেতে বাধ্য। আর থাকার জন্য আপনারা এক অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপের বিভিন্ন হোটেল গুলোতে থাকতে পারেন, কিন্তু এই জায়গা গুলো কিন্তু একটু কস্টলি। একটি কম খরচে থাকতে চাইলে পাহাড়ের পাদদেশে মাঠা পাহাড়ের নিকটবর্তী এলাকায় বিভিন্ন কটেজ, বা বাঘমুন্ডি শহরেও কমের মধ্যে অনেক হোটেল পেয়ে যাবেন, আপনি চাইলে পুরুলিয়া শহরেরও থাকতে পারেন, যেমনটা আমরা ছিলাম। কিছু হোটেলের নাম ও নাম্বার আমি আপনাদের সুবিধার্থে দিয়ে দিলাম...

১. অযোধ্যা হিলটপ ট্যুরিস্ট লজ - 7278749303

২. অযোধ্যা গেস্ট হাউস - 8910972014

৩. WBCADC গেস্ট হাউস - 7501524345.

4. PHE গেস্ট হাউস - 73849308518



কেমন করে যাবেন :- এবার আসি কেমন করে এখানে আপনারা পৌঁছোবেন। নিজস্ব গাড়ি নিয়ে আসলে তো কোনো কথাই নেই। রাস্তা সব জায়গায় খুবই ভাল তাই এদিকে থেকে খুব একটা অসুবিধা হবে না। আপনারা কলকাতা থেকে আসতে চাইলে ডানকুনি - আরামবাগ - জয়পুর ফরেস্ট - বিষ্ণুপুর, বলরামপুর হয়ে বাঘমুন্ডি বা অযোদ্ধা পাহাড়। এছাড়াও পুরুলিয়া যাওয়ায় বাস ও পেয়ে যাবেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতা থেকে যারা আসবেন তাদের জন্য সবচেয়ে বেস্ট হলো ট্রেন বিশেষ করে হাওড়া থেকে রাত ১১.৩০ চক্রধরপুর ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। পুরুলিয়া পৌঁছে দেবে সকাল ৬.৩০ টায় ভাড়া স্লিপারে ২২০ টাকা। আপনি অযোধ্যা পাহাড়ে যেতে চাইলে পুরুলিয়া না নেমে 2 টা স্টেশন এগিয়ে বড়াভূমেও নামতে পারেন, দু জায়গা থেকেই আপনি অযোধ্যা পাহাড় যাওয়ার জন্য গাড়ি পেয়ে যাবেন। 4 সীটার ছোটো গাড়ি গুলোর ভাড়া নিতে পারেন 2500 টাকার মতো, একদিনের জন্য।


রঘুনাথপুর ও গড় সার্কিট :- অযোধ্যা পাহাড়ের পরই যে জায়গা বা সার্কিটটি খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেটা হলো এই বড়ন্তি, গড়পঞ্চকোট এলাকা যাকে রঘুনাথপুর সার্কিটও বলা হয়। বেশ কয়েকবছর ধরে বিশেষ করে স্যোসাল মিডিয়ার কল্যাণে সার্কিটটা খুবই পরিচিত নাম হয়ে গেছে, অফবিট পুরুলিয়া হিসেবে। অফবিট পুরুলিয়া বলা হলেও এই জায়গা গুলোতে এখন এত পরিমাণে পর্যটক আসছে যে জায়গা গুলোকে কোনো মতেই আর অফবিট পুরুলিয়া বলা যাবে না। বলতে গেলে বসন্তকালে পলাশের টানে এই এলাকায় হাজার হাজার পর্যটন এসে থাকে, এই এলাকায় কিন্তু পলাশের কোনো কমতি নেই। রঘুনাথপুরের কাছে সাঁতুড়ি বিশেষ করে ভেটি গ্রাম, গড়পঞ্চকোট ও বড়ন্তি যাওয়ার পথে সারি সারি পলাশ গাছের সারি ও বাগান পাবেন। চলুন এবার দেখে নি এই সার্কিটে কোন কোন জায়গা আপনারা দেখবেন....

পুরুলিয়া শহর থেকে যদি রওনা দেন তাহলে সবার প্রথমে পড়বে কাশিপুর রাজবাড়ি, পাশেই আছে পুরুলিয়ার সুন্দরবন রঞ্জনডিহি ড্যাম, বান্দা ডেউল, তারপর জয়চন্ডী পাহাড়, জয়চন্ডী মাতার মন্দির, হিরক রাজার দেশের শুটিং স্পট, গড়পঞ্চকোটের পুরো এলাকা, বড়ন্তি, এই বড়ন্তি লেকের সূর্যাস্ত কিন্তু অসাধারণ লাগে। পাঞ্চেত, মাইথন একটু দূরেই আছে তেলকুপি, ফুটিয়ারি ড্যাম, সাঁওতালডি, পাড়া, ডেইলভিড়া এরকম কিন্তু প্রচুর জায়গা আছে। 


এই সার্কিটে মোটামোটি দুদিন থাকলে যথেষ্ঠ। সব ঘোরা তো আর সম্ভব না, দুদিনে যতো গুলো পারবেন দেখে নেবেন, চাইলে ৩ দিনও থাকতে পারেন। থাকার কিন্তু কোনো অসুবিধা নেই আপনি বড়ন্তি, গড়পঞ্চকোটের বিভিন্ন কটেজ বা রিসোর্টে থাকতে চাইলে থাকতে পারেন বা কমে থাকতে চাইলে আসানসোল বা রঘুনাথপুর বা আদ্রা বিভিন্ন হোটেলে থাকতে পারেন।

এবার আসি যাওয়া আসার ব্যাপার এই সার্কিট যদি আপনারা আলাদা করে করতে চান তাহলে নামতে হবে আদ্রা বা আসানসোল যেকোনো স্টেশনে। তারপর আপনাদের গাড়ি ভাড়া করে এই জায়গা গুলো ঘুরে নিতে হবে, আমরা কিন্তু আসানসোল স্টেশনে নেমে লোকাল ট্রেন করে মুরাডি তারপর টোটো করে বাকি জায়গা গুলো ঘুরেছি। টোটো করলে আপনাদের খরচা একটু কম হয় আবার অন্যদিকে সময়টা একটু বেশি লেগে যায়। আর আপনারা যদি অযোধ্যা সার্কিট ঘুরে পুরুলিয়ার দিক থেকে এদিকে আসে তাহলে ওই গাড়িই আপনাকে এই রঘুনাথপুর সার্কিট পুরো ঘুরিয়ে আসানসোল স্টেশনে ড্রপ করে দেবে আর পুরুলিয়া যাওয়ায় দরকার নেই এটাই সবচেয়ে বেস্ট হবে।


এবার বড়ন্তিতে থাকার মতো কিছু ভালো রিসর্টের সন্ধান দেই-

১. বড়ন্তি ভিলেজ রিসর্ট - 7439128209

২. পলাশ কুইন রিসর্ট - 9564677613

৩. মন পলাস রিসর্ট - 9062768434

৪. পলাশ কুঠি রিসর্ট - 8230883336

গড়পঞ্চকোটের কিছু হোটেল বা রিসর্ট - 

১. গড়পঞ্চকোট ইকো ট্যুরিজম - 8001625777

2. পাঞ্চেত রেসিডেন্সি - 8001039161

৩. অরণ্যের দিনরাত্রি - 8145688080

ঝালদা সার্কিট :- পুরুলিয়ার একদম ঝাড়খণ্ড বর্ডার লাগোয়া এই ঝালদা সার্কিট। যার প্রধান কেন্দ্র ও শহর হল এই ঝালদা, পর্যটকদের আনাগোনা এই সার্কিটে পুরুলিয়ার বাকি জায়গা গুলো থেকে কিন্তু একটু কমই। আপনি যদি পুরুলিয়ার জন্য 2 রাত্রি ৩ দিনের প্ল্যান করে থাকেন তাহলে অযোধ্যার জন্য দুদিন এবং ঝালদার জন্য আরো এক দিন দিলে খুব ভাল মত ঘুরে আবার রাতের ট্রেন ধরে ফিরে ও চলে আসতে পারেন। এই পুরো এলাকা অযোধ্যা পাহাড়ের একদমই লাগোয়া এবং খুবই দারুণ দারুণ সব স্পট গুলো এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে সেগুলো এক এক করে দেখেনি...

পুরুলিয়া শহর থেকে বেরিয়ে প্রথমে দেখে নেবেন জয়পুর রাজবাড়ি, তারপর চলে আসুন হাজার বছরের পুরনো মন্দিরের জন্য বিখ্যাত দেউলঘাটা, দেউলঘাটা থেকে ভূতুরে স্টেশন বেগুনকোদর দেখে চলে আসুন এই সার্কিটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্পট মুরগুমা ড্যাম দেখতে। এছাড়াও ঝাড়খণ্ড বর্ডার লাগোয়া ছোট্ট সুন্দর গ্রাম তুলিন কিন্তু অসাধারন এবং নিরিবিলি একটা জায়গা, এছাড়াও এখানে আছে ময়ূরের গ্রাম জাজাহাতু এবং অসাধারণ সুন্দর কুকি জলাধার। এগুলো দেখার সাথে সাথে এই সার্কিটে কালি, চিন্টা, বানসা পাহাড়ের মত ছোটো কিন্তু সুন্দর কিছু পাহাড় ও দেখে চলে আসুন আবার পুরুলিয়ার পথে। মুরগুমা লেকের আসে পাশেও কিছু হোটেল ও রিসর্ট তৈরি হয়েছে সেখানে ও ইচ্ছা করলে থাকতে পারেন।


পুরুলিয়া শহর ভিত্তিক সার্কিট :- পুরুলিয়া শহরের কাছে  এবং শহরের মধ্যে যেসব স্থান গুলো আছে সেগুলো নিয়েই এই পুরুলিয়া সার্কিট, যা একদিনের ভ্রমণের জন্য যথেষ্টই ভালো হবে। এবার পুরুলিয়া শহরকে কেন্দ্র করে কোন কোন জায়গা আপনারা ঘুরে নিতে পারবেন সেগুলো দেখে নি - 

পুরুলিয়া শহর এবং শহরের কাছে পিঠে অবস্থিত কয়েকটি স্পট গুলো যেমন - ভারত সেবাশ্রম সংঘ, সাহেব বাঁধ, সুভাষ পার্ক, চকবাজার কালি মন্দির, ও মিউজিয়াম।


 

এছাড়াও - বলরামপুরের ৫০ ফুটের ডেউল, সুরুলিয়া ডিয়ার পার্ক, কুমারি ড্যাম, পাতলই ড্যাম, লোহাসোল ড্যাম প্রভৃতি ।পুরুলিয়া শহরে থাকার জন্য কম খরচের অনেক হোটেল এবং ভাড়ার জন্য গাড়িও পেয়ে যাবেন। 

পুরুলিয়ার কিছু অফবিট দেখার জায়গা:-

মাছকান্দা ঝর্ণা 

পিটিদিরি ঝর্ণা 

মড়াভাসা লেক 

চেমটাবুরু শৃঙ্গ

রুপাই নদী

জজহাতু

সিন্দ্রোলিয়া ও কীর্তনিয়া পাহাড় 

লায়েক বাঁধ 

সাহারজোড় নদী 

উকামবুরু 

মামুডি ভিউ পয়েন্ট 

গজাবুরু ভিউ পয়েন্ট 

জিলিংসেরেঞ ভিউ পয়েন্ট।

 এগুলো অযোধ্যা পাহাড়ের পশ্চিমাংশে। যেটাকে অনেকে ঝালদা সার্কিট বলেন। মামুডি কে কেন্দ্র করে ঘোরা যায় এগুলো।

পুরুলিয়া ট্যুর কত দিনের হতে পারি কোন সময় পুরুলিয়ার জন্য বেস্ট টাইম :- এই প্রশ্ন টা কিন্তু অনেকেই করে থাকে বা অনেকের মনের মধ্যেই আসে। কিন্তু এর সঠিক উত্তর ঠিক দেওয়া যায়না। পুরুলিয়া এত সুন্দর আর এত ভাল ভাল স্পট আছে যে আপনি যতো দিন ইচ্ছা থাকতে পারেন। আমি আপনাদের সুবিধার জন্য পুরুলিয়া জেলার ট্যুরিস্ট স্পট গুলোকে বিভিন্ন সার্কিটে ভাগ করে দিয়েছি।

পুরুলিয়া কিন্তু পর্যটকেরা ছোটো ট্যুরের জন্য বেশী পছন্দ করে। বড় ট্যুর বা ৭ থেকে ৮ দিনের ট্যুরের জন্য পুরুলিয়া খুব কম জনই আসে।

১. পুরুলিয়া সার্কিট + অযোধ্যা সার্কিট - 2 রাত ৩ দিন।

২. পুরুলিয়া সার্কিট + অযোধ্যা সার্কিট + ঝালদা সার্কিট - ৩ রাত ৪ দিন।

৩. অযোধ্যা সার্কিট + ঝালদা সার্কিট - ২ রাত ৩ দিন ।

৪. রঘুনাথপুর সার্কিট ভালো ভাবে - ২ রাত ৩ দিন ।

৫. পুরুলিয়া সার্কিট + রঘুনাথপুর সার্কিট - ২ রাত ৩ দিন ।

৬. অযোধ্যা সার্কিট + রঘুনাথপুর সার্কিট - ৩ রাত ৪ দিন। 



এবার আপনারা আপনাদের নিজেদের পছন্দ মত প্ল্যান সাজিয়ে ফেলুন । আর আসবেন কখন পুরুলিয়া, সবার টার্গেটই থাকে শীতকালে এবং পলাশের সময়, তাই এ ব্যাপারে খুব একটা কিছু বলার দরকার আছে বলে আমার মনে হয়না, শুধু এটুকুই বলবো পুরুলিয়ার গরমকে যদি একটু সহ্য করতে পারেন তাহলে বর্ষাকালে একবারের জন্য ঘুরে যান সত্যি বলছি বর্ষার সৌন্দর্য একদমই আলাদা যা আপনাকে অবাক করে দেবে।


পুরুলিয়া ট্যুরে খরচা :- পুরুলিয়া ট্যুরের জন্য কত খরচা হতে পারে? এটা অনেকটা নির্ভর করে পর্যটকদের ওপরেই।

হোটেল - আপনারা যদি পুরুলিয়া শহরে থাকেন তাহলে ৭০০- ১০০০ মধ্যে হোটেল পেয়ে যাবেন। আর আপনারা যদি রিসর্ট থাকার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে ভাড়া ১৫০০ থেকে শুরু, পিক টাইমে তা আরো বেশি ও হতে পারে।

গাড়ি ভাড়া - পুরুলিয়া পৌঁছানোর ট্রেন ভাড়া পড়বে ২৫০ টাকার মধ্যে তারপর ঘোরার জন্য 4 জনের ছোটো গাড়ি ভাড়া পড়বে ২৫০০ টাকা। এবং বড় গাড়ি ৩৫০০-৪০০০ টাকা।

খাওয়া - খাওয়ার খরচা তিন বেলার জন্য ৪০০ টাকার মতো খরচা হবে প্রতি দিন হিসেবে, এবার আপনি যতো দিন থাকবেন তার ওপরে নির্ভর করবে।

আসাকরি পুরুলিয়া সম্পর্কে আপনাদের একটা ধারনা দিতে পারলাম। এর বাইরেও কিছু প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন । ধন্যবাদ 🙏 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন