।।ভারতে অবস্থিত সর্বোচ্চ কিছু মূর্তি।।
ভ্রমণ পিপাসু:- বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য হল ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রধান অঙ্গ। বিভিন্ন ধর্ম, জাতি, ভাষাভাষীর বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জাতি কর্তৃক তাদের উপাস্য দেবতা থেকে শুরু করে ধর্মগুরু মূর্তি নির্মাণ করা হয়ে আমাদের এই দেশে বহু আগে থেকেই। এটা অনেকটা এই মহান ব্যক্তিদের তাদের সম্মান জানানোর জন্যও করা হয়ে থাকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে। এরকমই আমাদের দেশে তৈরি হওয়া কিছু সুউচ্চ মহান ব্যক্তিদের মূর্তি নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করবো, কিছু কিছু আবার দেশ ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। এরকমই কিছু মূর্তি নিয়ে তার মধ্যে কিছু তৈরি হয়ে গেছে কিছুর কাজ এখনো চলছে এখন আলোচনা করবো, এর মধ্যে এমন কিছু কিছু মূর্তির নাম আপনারা জানবেন যা কখন শোনেননি এবং তার সাথে সাথে সেগুলো কোথায় অবস্থিত কেমন করে জায়গা গুলোতে যেতে পারবেন সমস্ত তথ্য থাকবে এই ব্লগে।
ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ স্মারক মুম্বই :- বর্তমানে ভারত তথা পৃথিবীর উচ্চতম মূর্তিটি হল গুজরাটের নর্মদা নদীর তীরে অবস্থিত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের Statue Of Unity, কিন্তু মুম্বই এর ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ স্মারক যদি সম্পূর্ন হয়ে যায় তাহলে এটিই হবে ভারত তথা বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি, যার কাজ এখনো চলছে, হয়তো আরো কয়েক বছর সময় লাগবে। উচ্চতা ৬৯৬ ফিট( ২৯২ মিটার)।
মুম্বই এর গিরগাঁও চৌপাটি বিচ থেকে প্রায় ১.৫ কি.মি দূরে আরব সাগরের মাঝে শিবাজী মহারাজের এই বিশাল মূর্তিটি গড়ে তোলা হবে। এটি ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত আর্কিটেকচার রাম সুতার।
এই স্মারকের মধ্যে থাকবে ১০০০০ মানুষের বসার মত একটি কনভেনশন সেন্টার, ফুড কোর্ট, মেমোরিয়াল গার্ডেন, লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, এক্সভিসন গ্যালারি আরো অনেক কিছু, এককথায় এটি চালু হলে তা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র হতে যাচ্ছে।
স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি - বি আর আম্বেদকার :- ভারতীয় সংবিধানের জনক এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী বি আর আম্বেদকারের একটি সুউচ্চ মূর্তি তৈরি হতে চলেছে, মুম্বই এর ইন্দু মিল কমপাউন্ডে। এর উচ্চতা ৪৫০ ফিট ( ১৩৭ মিটার)।
এই মূর্তিটি তৈরির কাজও এখনো সম্পূর্ন হয়নি কাজ চলছে, কাজ মোটামুটি প্রায় ৫০% সম্পূর্ন হয়ে গেছে আর পুরো সম্পূর্ন হতে হতে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস হয়ে যেতে পারে। এটি যখন কমপ্লিট হবে তখন মুম্বই এর শিবাজী স্টাচুকে বাদ দিলে এটিই হবে পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম স্টাচু।
এগুলো ছাড়াও বি আর আম্বেদকার, সীতা মাতা, ভগবান রামের বিভিন্ন সুউচ্চ মূর্তি তৈরির কাজ চলছে কিছু এখনো প্রস্তাবিত আছে। চলুন এবার দেখে নি কাজ কমপ্লিট হয়ে যাওয়া ভারতের কয়েকটি উচ্চতম মূর্তি।
১.স্ট্যাচু অফ ইউনিটি :- কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের পর্যটন মানচিত্রে সবচেয়ে আলোচিত এবং পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠেছে এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৮২ টি ফিট উচু এই মূর্তিটি বর্তমানে ভারত তথা বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি। এটি গুজরাটের একদম পূর্ব ভাগে নর্মদা নদীর তীরে সর্দার সরোবর বাঁধের কিছু দূরেই তৈরি করা হয়েছে। মূর্তিটির ওপরে উঠে বাঁধের পুরো ভিউটা খুব সুন্দর ভাবে লক্ষ্য করা যায়।
এখানে পৌঁছতে হলে সবচেয়ে কাছের শহর হল বরোদা বা ভাদোদরা, আপনি চাইলে আহমেদাবাদ থেকেও এখানে আসতে পারেন কিন্তু একটু দূর হয়ে যাবে। বাস, ট্রেন ভাড়া গাড়ি সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা আছে এখানে আসার। এখানে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ছাড়াও পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য আরো অনেক কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য আপনি আমার এই ইউটিউব ভিডিওটি দেখতে পারেন এখানে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ছাড়াও পুরো গুজরাট ট্যুরের ব্যাপারে সমস্ত কিছু details এ বলা আছে লিঙ্ক..?
২.বিশ্বাস স্বরুপম্ :- বিশ্বের উচ্চতম শিব মূর্তি যার উচ্চতা ৩৭৯ ফিট। রাজস্থানের রাজসমন্দ জেলার নাথদ্বারাতে গড়ে তোলা হয়েছে এই মূর্তিটি যার নাম দেওয়া হয়েছে বিশ্বাস স্বরুপম্ বা স্ট্যাচু অফ বিলিফ এবছরই অক্টোবর মাসে যার উদ্বোধন হল।
৩৭৯ ফিট উচু এই শিব মূর্তি তৈরি হতে সময় লেগেছে প্রায় ১০ বছর, কাজ সম্পূর্ন হওয়ার পর এটি ভারতের এখন দ্বিতীয় উচ্চতম মূর্তি। এখানে আসতে হলে সবচেয়ে নিকটবর্তী শহর হল উদয়পুর। উদয়পুর থেকে 45 কি.মি দূরে অবস্থিত এই বিশ্বাস স্বরুপম্।
৩.স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি :- লিস্টে এর পরের নাম্বারে আসবেন হায়দরাবাদের কাছে প্রতিষ্ঠিত রামানুজমের ২১৬ ফিট উচু এই মূর্তি। এর নাম দেওয়া হয়েছে স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি। এটিই হল পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম বসে থাকা মূর্তি। এবং দেশের মধ্যে উচ্চতার দিক থেকে তৃতীয় উচ্চতম স্টাচু।
রামানুজ ছিলেন প্রাচীন যুগে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একজন ধর্ম প্রচারক, সংস্কারক দার্শনিক এবং একজন ধর্মগুরু। তার আবির্ভাবের ১০০০ বছর হওয়ার পূর্ণলগ্নে দেশ বিদেশের তার ভক্তদের দানের টাকায় এই বিশাল মূর্তিটি গড়ে তোলা হয়েছে। এ বছরই এটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখানে আসবেন কেমন করে, এটি কিন্তু হায়দ্রাবাদ শহর থেকে একটু বাইরের সাইড মুনচিথাল নামক স্থানে অবস্থিত। এখানে আসতে হলে আপনি গাড়ি ও ভাড়া করে নিতে পারেন, আর টাকা বাচাতে চাইলে সবচেয়ে ভালো হবে বাস, বাসস্ট্যান্ড থেকে মুনচিথাল বা সাধনগরের বাস মুনচিথালে নেমে আপনাকে অটো করতে হবে, মাত্র ১ কি.মি মতো রাস্তা আপনি হেঁটেও যেতে পারেন। সামনে পার্কিং ও আছে গাড়ি রাখার। এখানে প্রবেশ মুল্য যথাক্রমে ১৫০,৭৫ টাকা।
৪. হনুমান স্ট্যাচু মডপম্ :- এই লিস্টে পরের মূর্তিটি আসবে সেটি হল অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার মডপম্ এর কাছে অবস্থিত হনুমানের ১৭৬ ফিট উচু একটি মূর্তি । আমাদের দেশে হনুমানজীর অনেক উচু উচু মূর্তি আছে তার মধ্যে এটি উচ্চতম। ২০০৫ সাল থেকে এর তৈরির কাজ শুরু হয় যা গিয়ে শেষ হয় ২০১৫ সালে।
স্থানীয় একজন হনুমানভক্ত এই মূর্তি তৈরির কাজ নিজস্ব উদ্যোগে ভামসাধারা নদীর ধারে শুরু করেন, এছাড়াও অনেকেরই অর্থ সাহায্য এর কাজটি ২০১৫ সালে শেষ হয়। এখানে পৌঁছতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম পৌঁছতে হবে শ্রীকাকুলাম, ট্রেন, বাইরোড যেকোনো মাধ্যমে আপনি শ্রীকাকুলাম শহরে পৌঁছে যেতে পারবেন সেখান থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন মডপম্ আসার জন্য।
৫. হনুমান মূর্তি পরিতালা :- ভারতে অবস্থিত ভগবান হনুমানের তৃতীয় উচ্চতম মূর্তি। যার উচ্চতা ১৩৫ ফিট (৪১ মিটার)। এটি ও অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া শহর থেকে প্রায় ৩০ কি.মি দূরে পারিতালা নামক স্থানে অবস্থিত অঞ্জনায়া মন্দির, সেই মন্দির কমপ্লেক্সেই এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে।
এখানে কেমন করে যাবেন, হায়দরাবাদ থেকে বিজয়ওয়াড়া যাওয়ার পথে বিজয়ওয়াড়ার কিছু আগেই হাইওয়ের একদম পাশেই এই মন্দির টি অবস্থিত। এখানে আসা ও খুব সহজ তাই আপনারা যদি বিজয়ওয়াড়া বা হায়দরাবাদ এসে থাকেন তাহলে সময় করে এই মন্দিরটি একবার ঘুরে যাবেন।
৬. হনুমান মূর্তি মানব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় :- হিমাচলের রাজধানী শিমলা শহরে অবস্থিত ১০৮ ফিট জাখু হনুমান মূর্তির পর সোলনের খুব কাছেই মানব ভারতী ইউনিভার্সিটিতে গড়ে তোলা হয়েছে হনুমানজির বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি যার উচ্চতা ১৫৫ ফিট যার উদ্বোধন এ বছরই হয়ে গেলো। কিন্তু এটি পৃথিবীর উচ্চতম হনুমানজির মূর্তি না, সর্বোচ্চ মূর্তিটি অবস্থিত অন্ধ্র প্রদেশের মডপম্ এর মূর্তিটি উচ্চতা ১৭৬ ফিট ।
মানব ভারতী ইউনিভার্সিটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের উদ্যোগে এই মূর্তিটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় যা কয়েক কোটি টাকা খরচে কাজ সম্পূর্ন হয়। এটি ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত ডিজাইনার নরেশ কুমাবত, কয়েক টন কংক্রিটের সাহায্যে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে পৌঁছতে হলে আপনাকে প্রথমে সোলন শহরে পৌঁছতে হবে, সোলন থেকে এটির দূরত্ব মাত্র ১২ কি.মি।
৭.কন্যাকুমারীর থিরুভাল্লুভার মূর্তি :- ভারতের দক্ষিণতম স্থান এবং তিন সাগরের মিলনস্থল কন্যাকুমারী। এখানে না গেলেও কন্যাকুমারীর ছবি দেখেননি এরকম মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। কন্যাকুমারীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হলো বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল। সেই বিবেকানন্দ রকের পাশেই সমুদ্রের ওপর এক বিশাল প্রস্তরখন্ডের ওপরে গড়ে তোলা হয়েছে তামিল কবি থিরুভাল্লুভারের ১৩৩ ফিট উচ্চ এক বিশাল মূর্তি। এই থিরুভাল্লুভার মূর্তি এবং বিবেকানন্দ রক দুটোকে একসাথে দূর থেকে দেখতে কিন্তু দারুণ লাগে। আপনি কেরালা এবং কন্যাকুমারী যদি ঘুরতে যেতে চান তাহলে আমার এই ব্লগটি অবশ্যই পড়ে নিতে পারেন....
১৯৯০ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো যা সম্পূর্ন হতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছে। বর্তমানে এটি পৃথিবীর ২৫তম উচ্চতম মূর্তি এবং দেশের মধ্যে অষ্টম উচ্চতম মূর্তি। এখানে যাওয়ার জন্য টিকিট মুল্য ৫০ টাকা, এই টিকিটে আপনাকে বিবেকানন্দ রকের পাশাপাশি এই মূর্তি ও দেখার সৌভাগ্য হবে।
৮. রাবাংলা বুদ্ধ পার্ক :- দক্ষিণ সিকিমের একটি ছোট্ট শহর রাবাংলা। এই রাবাংলাতে ২০১৩ সালে গড়ে তোলা হয়েছে তথাগত স্থল, যাকে বুদ্ধ পার্ক হিসেবে ও সবাই চেনে। এই বুদ্ধ পার্কের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে ভগবান বুদ্ধের ১৩০ ফিট উচু এক মূর্তি। যেটি এই বুদ্ধা পার্কের প্রধান আকর্ষন যার টানেই পর্যটকরা এখানে ছুটে আসে।
জায়গাটি কিন্তু বেশ সুন্দর অনেকটা সময় এখানে আপনারা কাটাতে পারবেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দক্ষিণ সিকিমের এই রাবাংলা শহরে ২০১৩ সালে এর কাজ সম্পূর্ন হয়। এর উদ্বোধনে এসেছিলেন স্বয়ং দলাই লামা। আপনি পেলিং ঘুরে নামচি যাওয়ার পথে এই রাবাংলা ঘুরে নিতে পারেন অথবা উল্টো টাও করতে পারেন। এখানে থাকার কোনো দরকার নেই।
৯.মুদ্রেশ্বর :- কর্নাটকের উত্তর কানাড়া জেলার তিনদিক দিয়ে আরব সাগর দ্বারা বেস্তিত কানডুকা পাহাড়। এই পাহাড়ের ওপরেরই গড়ে তোলা হয়েছে মুদ্রেশ্বর মন্দির। এই মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যেই গড়ে তোলে হয়েছে ১২৩ ফিট দেবাধিদেব মহাদেবের এক অসাধারন মূর্তি। এর তিন দিকে সমুদ্র এখানে থেকে ভিউ টাও অসাধারণ। ১২৩ ফিট উচু এই মূর্তি বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম শিবমূর্তি।
এই মুদ্রেশ্বর মন্দিরের প্রবেশপথে একটু ২০ তলা বিশিষ্ট গোপুরম বা যাকে মন্দিরের গেট বলতে পারেন, অবস্থিত এটিও এখানকার আকর্ষনের মধ্যে একটি। তাছাড়া ও এখানে মুদ্রেশ্বর বিচ ছাড়াও আরো কিছু দর্শনীয় স্থান আছে। এর নিকটবর্তী শহর হল ভাটকাল এছাড়াও আপনি ম্যাঙ্গালোর থেকেও এখানে চলে আসতে পারেন খুব সহজে। ম্যাঙ্গালোর- মুম্বই কোঙ্কন ট্রেন লাইনের মধ্যে এই জায়গাটি পড়বে।
১০.আদিযোগী :- তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর শহরের কাছে অবস্থিত ইসা ফাউন্ডেশন। এই ইসা ফাউন্ডেশন সেন্টার তৈরি করেছে পৃথিবীর বৃহত্তম ভগবান শিবের ধাতব আবক্ষ মূর্তি, যার উচ্চতা ১১২ ফিট উচু এবং ১৪৭ দীর্ঘ। যার নাম দেওয়া হয়েছে আদি যোগী।
এটি ডিজাইন করেছেন ইসা ফাউন্ডেশনের প্রধান সদগুরু। তৈরি করতে প্রায় ৫০০ টন স্টিল প্রয়োজন হয়েছে, ২০১৭ সালে শিবরাত্রির দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে এর উদ্বোধন হয়েছে।এখানে পৌঁছতে হলে আপনি কোয়েম্বাটোর পৌঁছে সেখান থেকে গাড়ি কিংবা অটো ভাড়া করে এখানে চলে আসতে পারেন ৩০ মিনিটের মাত্র যাত্রা এছাড়াও বাস ও চলে এই ইসা ফাউন্ডেশন আসার জন্য আপনারা আপনাদের পছন্দ মত এবং সুবিধামত এখানে চলে আসতে পারেন।
১১.জাখু হনুমান মূর্তি :- হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলার সবচেয়ে উচু স্থান হল জাখু পাহাড়, এই পাহাড়ের ওপরেরই অবস্থিত হনুমানজীর এক প্রাচীন মন্দির যাকে জাখু মন্দির হিসেবেই সকলে চেনে। এই মন্দির প্রাঙ্গণেই অবস্থিত হনুমানজীর ১০৮ ফিট উচু এক মূর্তি যা বিশ্বের অন্যতম উচ্চতম একটি মূর্তি।
এই মন্দিরটি যথেষ্টই প্রাচীন, কারণ এই জায়গাটি সাথে পৌরাণিক এক কাহিনী জড়িত আছে। রামায়ণ অনুসারে হনুমানজী যখন লক্ষনের জন্য সন্জীবনী বুটী খুঁজতে বেরিয়েছিলেন তখন এই জায়গাটিতেই কিছু সময় বিশ্রাম নিয়েছিলেন, তাই এই জায়গাটিতে মন্দিরটি এবং মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে যার উদ্বোধন হয়েছে ২০১০ সালে। এই মন্দিরটি একদম শিমলা শহরের মধ্যেই অবস্থিত এবং মল রোড থেকে দূরত্ব ১.৫ কি.মি। শিমলার লোকাল সাইটসিং এর মধ্যেই এই জায়গাটি পড়ে।
১২. মৈত্রী বুদ্ধ স্ট্যাচু লাদাখ :- লাদাখের নুবরা ভ্যালির সদর শহর ডিস্কিটে অবস্থিত ডিস্কিট মনাস্ট্রির ভেতরে তৈরি করা হয়েছে এই ১০৮ফিট উচু ভগবান বুদ্ধের এই মৈত্রী স্ট্যাচু, যা লাদাখের অন্যতম আকর্ষনের কেন্দ্র পর্যটকদের কাছে।
প্রায় ১১০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এই জায়গায় এতো বৃহৎ মূর্তি গড়ে তোলা যথেষ্ঠ কষ্টসাধ্য কাজ। আপনি লাদাখে যখন নুবরা ভ্যালি ভ্রমণে আসবে প্রথম দিনই আপনি ডিস্কিটের এই মনাস্ট্রিটা দেখতে পাবেন, লাদাখ সফরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন নিচের আমার লেখা এই ব্লগে....
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন