বিনা ভিসায় ঘুরে আসুন পাকিস্তান একদিনের জন্য।

 বিনা ভিসায় ঘুরে আসুন পাকিস্তান একদিনের জন্য।

ভ্রমণ পিপাসু :- জানেন কি আপনি একদিনের জন্য বিনা ভিসায় ঘুরে আসতে পারেন পাকিস্তান। পাকিস্তান যাওয়ার অনেক জটিলতা আছে ভারতীয়দের তেমনি পাকিস্তানিদের ও ভারতে আসার। কিন্তু পাঞ্জাবের একদম বর্ডারের অবস্থিত শিখদের পবিত্র ধর্মীয়স্থান কর্তারপুরে আপনি একদিনের জন্য বিনা ভিসায় খুব সুন্দর ভাবে একটা দিন কাটিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। আগে পাসপোর্ট ও লাগতো না, কিন্তু এখন পাসপোর্ট লাগছে কিন্তু কোনো ভিসার আবেদন করতে হবে না এখানে আসার ক্ষেত্রে।


কর্তারপুর পাকিস্তান :- দেশ ভাগের সময়ে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়, একটু পূর্ব এবং একটি পশ্চিম পাঞ্জাব। পশ্চিম পাঞ্জাবে একদম বর্ডার লাগোয়া কর্তারপুরে অবস্থিত দরবার সাহিব গুরুদোয়ারা। যেটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নরোয়াল জেলায় অবস্থিত। বর্ডারের এপারে অবস্থিত পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক শহর, যেটি ভারতের অন্তিম শহর বর্ডারের আগে। দেশভাগের আগে পাকিস্তানের নরোয়াল জেলা এবং ভারতের গুরুদাসপুর জেলা একটি অর্থাৎ পাঞ্জাব রাজ্যের অংশ ছিল। ভারতের বর্ডার শহর ডেরা বাবা নানক থেকে এই কর্তারপুরের বাবা দরবার সাহিবের দূরত্ব মাত্র ৪.৭ কি.মি,কিন্তু দেশ ভাগের আগে ভারতীয়রা বিশেষ করে শিখ তীর্থযাত্রীরা অবাধে যেতে পারলেও দেশ ভাগের পরেও পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে গুরু পূরব উপলক্ষে তীর্থ যাত্রীদের এখানে আসার জন্য পারমিশন দিতো কিন্তু ১৯৬৫ যুদ্ধের পর থেকে পাকিস্তান থেকে এখানে আসার পারমিশন দেওয়া একদমই বন্ধ করে দিয়েছিল। এখানে যেতে হলে ওয়াঘা বর্ডার হয়ে অনেকটা পথ ঘুরে এখানে যেতে হতো। শিখ দের কাছে খুব পবিত্র এই জায়গা কারণ এখানে শিখদের প্রথম গুরু, নানকদেব তার জীবনের শেষ ১৮টা বছর এখানেই কাটিয়েছিলেন এখানেই তিনি কৃষিকাজ করতেন যেই জায়গাটিকে ক্ষেতিসাহিব বলা হয়। এবং তার মৃত্যুর পর তাকে এখানেই সমাধিস্থ করা হয় এই কারণে শিখদের কাছে এই জায়গা এত গুরুত্বপূর্ণ। এত কাছে এই পবিত্রস্থানটি অবস্থিত হওয়ার সত্বেও তারা এখানে যেতে পারত না, কেবল বর্ডার থেকে দূর্বিন দিয়ে কেবল দেখতে পেতো। এটাই শিখদের কাছে আক্ষেপ থেকে গিয়েছিলো।

কর্তারপুর শাহিব।

কর্তারপুর করিডোর কি :- ১৯৬৫ যুদ্ধের পর থেকে শিখ তীর্থ যাত্রীদের এই কর্তারপুরের যাওয়ার না দেওয়ায় তারা খুব সমস্যায় পড়ে যান, কারণ তাদের প্রায় ২০০ কি.মি ঘুরে ওয়াঘা বর্ডার হয়ে এখানে আসতে হতো, কিন্তু বর্ডার থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৪ কি.মি ছিল। সেইজন্য অনেক আগে থেকেই তীর্থ যাত্রীদের জন্য বিনা পাসপোর্ট ভিসাতে এই গুরুদোয়ারা আসার জন্য একটি করিডোর নির্মাণের দাবি উঠছিলো। যাতে শিখ তীর্থযাত্রীদের আসার পথ সুগম্য হয়। এই দাবী প্রথম তোলা হয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির আমলে। যখন দু দেশের প্রধানমন্ত্রীর ১৯৯৯ সালে লাহোর-দিল্লী বাস পরিষেবার সূচনা করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে এই ব্যাপারে আর কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি। এবারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন তৎকালীন পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজোত সিং সিধু, তিনি পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ করেন যাতে শিখ পবিত্র উৎসব ৫৫০ তম গুরুপরব বা গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে এই করিডোর নির্মান করে শিখ জাতিকে একটি উপহার দেওয়া হয়। তারপর থেকেই এই তৎপরতা বারে ২০১৮ সালের ২৬শে নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন এর কিছুদিন পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও পাকিস্তানের দিক থেকে এর শিলান্যাস করেন। প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ভারতের দিকে করিডোর নির্মান হয় প্রায় ৬০০ মিটার যেটাতে ৪ লেন বিশিষ্ট রাস্তা একটি ওয়ার্ল্ড ক্লাস লেভেলের বিরাট যাত্রী টার্মিনাল, যেটা দেখে দেখে আপনাদের একদম এয়ারপোর্ট মনে হবে। একইরকম ভাবে পাকিস্তানের সাইডে ৪ কি.মি রাস্তা, রাভি নদীর ওপরে অবস্থিত একটি ব্রিজ, (এই ব্রিজ টাই ১৯৬৫ যুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধংস করে দেয় যাতে ইন্ডিয়ান আর্মি প্রবেশ করতে না পারে), এবং তার সাথে দরবার সাহিব গুরুদোয়ারা সংস্কার করে এরিয়া আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি করা হয়, যার ফলে এটি এখন বিশ্বের বৃহত্তম গুরুদোয়ারা। এর ফলে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। শেষ পর্যন্ত গুরু নানকের ৫৫০ তম গুরুপরব উপলক্ষে ২০১৯ সালের ১৮ই নভেম্বর এই করিডোর খুলে দেওয়া হয়। শিখ জাতির দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন এতদিনে সফল হয়।

কর্তারপুর করিডোরের নিয়মাবলী :- ১. কর্তারপুর করিডোর দিয়ে যেতে হলে আপনার পাসপোর্ট থাকা মাস্ট।

২. যারা ভারতীয় বংশভূত তাদের ক্ষেত্রে OCI (Overseas citizen of India lকার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।

৩. আপনি যেদিন কর্তারপুর করিডোর দিয়ে প্রবেশ করবেন সেদিন আপনাকে ফিরে আসতে হবে। শেষ Entry time দুপুর ৩ টা ।

৪. আপনি কর্তারপুর পৌঁছে দরকার সাহিব গুরুদোয়ারা ছাড়া আর অন্য কোনো জায়গায় যেতে পারবেন না।

৫. কর্তারপুর আসার ১৫ দিন বা তার আগে থেকে আপনাকে অনলাইন সাইট থেকে এখানে আসার জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে, অ্যাপ্লিকেশন গ্রাহ্য হলে আপনার মেইলে ETA(electronics travel authorisation) পাঠিয়ে দেওয়া হবে, সেটার প্রিন্ট আউট এবং পাসপোর্ট আপনাকে আপনারা সাথে নিয়ে আসতে হবে।

৬. পাকিস্তানের সীমায় প্রবেশ করার কাস্টমস্ অফিসে আপনাকে ২০ ডলার জমা করতে হবে। ডলার আপনারা ইন্ডিয়া থেকেও করে নিয়ে যেতে পারেন, আবার ওপারে গিয়েও ডলারে কনভার্ট করতে পারেন।

৭. আপনার সাথে ৭ কেজির বেশি ব্যাগ ক্যারি করতে পারবেন না। এবং যাওয়ার আগে পোলিও ড্রপ নেওয়া আবশ্যক।

কেমন করে পৌঁছোবেন কর্তারপুর :- কর্তারপুর আসতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথম পৌঁছতে হবে পাঞ্জাবের ডেরা বাবা নানক শহরে যা গুরুদাসপুর জেলায় অন্তর্গত। আপনি চাইলে দিল্লী থেকেও সরাসরি ডেরা বাবা নানকে চলে আসতে পারেন ট্রেন আছে আবার বাস ও আছে, বাসে আসলে গুরুদাসপুরের বাস ধরে এখানে সরাসরি নেমে যেতে পারবেন। অথবা আপনারা অমৃতসর বা চন্ডীগর থেকেও বাস ট্রেন ভাড়া গাড়ি পেয়ে যাবেন । অমৃতসর থেকে এর দুরত্ব মাত্র ৫০ কি.মি।

কর্তারপুর করিডোর দিয়ে যাওয়ার পুরো প্রসেস :- এই পয়েন্টে আমি আলোচনা করবো কি করে আপনি পুরো প্রসেস complete করে করিডোর দিয়ে কর্তারপুর গুরুদোয়ারা পৌঁছতে পারবেন, এটা পুরো একদিনে প্রসেস ।সর্ব প্রথম আপনাকে ETA ফর্মের প্রিন্টআউট বের করে রাখতে হবে, সাথে পাসপোর্ট এবং covid19 নেগেটিভ রিপোর্ট কপি, এই তিনটি কপি আপনাকে ডেরা বাবা নানকে কর্তারপুর করিডোর ঢোকার মুখে চেক হবে বিএসএফ দ্বারা, তারপরেই আপনারা প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারবেন।

এরপর টার্মিনালের আপনাদের যদি নিজস্ব গাড়ি ভাড়া গাড়ি থাকে সেটা পার্ক করে ভিতরে প্রবেশ করবেন, এখানেও আপনাদের আরো একবার চেকিং হবে তারপর আপনারা টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারবেন, প্রবেশ করার আগে আপনাদের অবশ্যই ২০ ডলার সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। না নিয়ে আসলেও টার্মিনালের ভিতরে ও নোট এক্সচেঞ্জ কাউন্টার পেয়ে যাবেন।

টার্মিনাল ভেতরটা কিন্তু যথেষ্ট বড় যাকে সংক্ষেপে PTB বলা হয় বা Passenger Tarminal Building। এখানে সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা আছে। ডেইলি প্রায় ৫০০০ তার ও বেশী যাত্রীরা এই টার্মিনাল ব্যবহার করে কর্তারপুর যেতে পারবেন। টার্মিনালে ভিতরে যাওয়ার পর আপনাকে যেতে হবে সিকিউরিটি চেকে এখানে আপনার ব্যাগ এবং আপনার চেকিং হবে, পুরো এয়ারপোর্ট মত পুরো পদ্ধতি। এখানে ও কিন্তু আপনি আপনার ক্যারি করা বাগে ৭ কেজির বেশি ওজন নিয়ে যেতে পারবেন না। ব্যাগে আপনারা জলের বোতল কিছু শুখনো খাওয়ার কিছু জামাকাপড় ইলেকট্রনিক্স জিনিস নিয়ে যেতে পারবেন, এর বাইরে উল্টো পাল্টে কিছু জিনিস নিয়ে যেতে পারবেন না। পুরো সিকিউরিটি চেকিং complete হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে পোলিও ড্রপ খাওয়ানো হবে, পাকিস্তানে যেহেতু পোলিও প্রকোপ আছে।

এরপরের স্টেপ হল ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশনের কয়েকটি কাউন্টার আছে আপনারা আপনাদের ETA ফর্ম এবং পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। আমাদের ETA ফর্মের ওপরে স্ট্যাম্প লাগিয়ে দেওয়া হবে তার মানে আপনি এখন কর্তারপুর যাওয়ার অনুমতি পেয়ে গেছেন, এরপর আপনাকে দেওয়া নির্দিষ্ট গেট দিয়ে টার্মিনাল থেকে বাইরে চলে আসতে হবে মানে পাকিস্তানের সাইডে, তার আগে কাস্টমস্ একটা ফর্ম আপনাকে ফিল আপ করতে হবে সেটায় আপনি কত টাকা নিয়ে যাচ্ছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে এর পাশাপাশি নোট exchange অবশ্যই করে নেবেন ।


টার্মিনালের নির্দিষ্ট গেট দিয়ে বের হওয়ার সাথে সাথেই ছোটো E- রিক্সা বা গল্ফ কার্ট টাইপের গাড়ি গুলো আপনাকে নিয়ে যাবে একদম জিরো পয়েন্টে, একদম জিরো পয়েন্টে আপনাকে ছেড়ে দেবে, এর সাথে সাথেই আপনারা ইন্ডিয়ার পুরো প্রসেস শেষ। এবার শুরু হবে পাকিস্তানে প্রবেশ, পাকিস্তানের প্রসেস।


জিরো লাইনেই ওয়েলকাম টু পাকিস্তান বোর্ড দেখতে পাবেন জিরো লাইন পার করেই ওপারেই আপনাদের জন্য বাস বা গল্ফ কার্ট গুলো থাকবে। যেগুলো আপনাকে নিয়ে চলে যাবে কর্তারপুর করিডোরের জন্য তৈরি পাকিস্তানের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস্ অফিসে।

ইমিগ্রেশন অফিসে পৌঁছে সবার প্রথমে আপনার Covid টেস্ট রিপোর্ট চেক করা হবে, তারপর আপনাকে তারা পাঠিয়ে দেবে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ কাউন্টারে সেখান আপনারা আপনাদের কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করে ডলার নিতে পারেন এবং এরপর ২০ ডলার আপনাকে কাউন্টারে ডিপোজিট করতে হবে, এই ২০ ডলার পাকিস্তান সরকার যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে। আপনি চাইলে কিছু পাকিস্তানী নোট ও এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারেন, গুরুদোয়ারা ভেতরে একটি বাজার আছে সেখান থেকে কিছু জিনিস কিনতে পারেন বা খাওয়ার জন্য কিছু নিয়ে নিতে পারেন। যে ২০ ডলার আপনি ডিপোজিট করেছিলেন, এর জন্য আপনাকে দুটো স্লিপ দেওয়া হবে এই স্লিপ দুটো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটাই প্রমাণ আপনারা ক্যাশ ডিপোজিটের, এরমধ্যে একটি স্লিপ ইমিগ্রেশনে জমা নিয়ে নেওয়া হবে এবং একটি স্লিপ আপনারা কাছে থাকবে।

এরপরের স্টেপ হল ইমিগ্রেশন। এরপর আপনি স্লিপটি নিয়ে সোজা চলে আসবেন ইমিগ্রেশন কাউন্টারে। আঙুলের ছাপ এবং ফটো নিয়ে তার সাথে সাথে আপনার টাকা ডিপোজিটের একটি স্লিপ কাউন্টার থেকে জমা নিয়ে নেবে, এই পুরো প্রসেসটা complete হওয়ার পর কাউন্টার থেকে আপনাকে একটা আইডি কার্ড দিবে যেটা আপনাকে এরপর থেকে সবসময় আপনার গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে, ইন্ডিয়ান দের জন্য হলুদ পাকিস্তানীদের জন্য মনেহয় সবুজ কার্ড। এরপর আপনার লাগেজ এবং সিকিউরিটি চেক হবে, যার পর আপনার পাকিস্তানে সমস্ত প্রসেস শেষ এবং আপনি বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

এরপর পাকিস্তানী ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে আপনাদের জন্য নির্দিষ্ট যে বাস অপেক্ষা করছে সেই বাসে উঠে পড়তে হবে। সেই বাস আপনাকে পৌঁছতে দেবে গুরুদোয়ারা দরবার সাহিব মাঝে রাস্তায় আপনি রাভি নদী দেখতে পাবেন যেই রাভি নদীর ব্রিজটি ক্রস করেই আপনি দরবার সাহিবে পৌঁছোবেন। পুরো পরিসর টা বিশাল বড়, আপনার পুরো একটা দিন লেগে যাবে এখানে ঘুরতে। তার ফাঁকে আপনি অবশ্যই গুরুদোয়ারা লঙ্গরখানায় গিয়ে দুপুরের লাঞ্চ টা সেরে নিবেন যদিও এখানে আপনি যতোবার চাইবেন ততবারেই এসে খাওয়ার খেয়ে যেতে পারেন কোনো মানা নেই। এরপর গুরুদোয়ারা পেছনে অবস্থিত পাকিস্তানী মার্কেট আছে সেখানে ও কিছু জিনিস চাইলে কিনতে পারেন সেটা আপনাদের নিজেদের ওপরে নির্ভর করছে কিছু না কিনতে চাইলে ও একবার অবশ্যই দেখে আসবেন হয়তো কিছু ভালো লেগেও যেতে পারে। আপনারা যে পাকিস্তানি রুপি এক্সচেঞ্জ করেছিলেন সেটা দিয়েই এখানে কিনতে হবে।

এর সাথে সাথে আপনাদের মাথায় রাখতে হবে বিকেলের মধ্যেই কিন্তু আপনাকে ফেরত আসতে হবে। তাই মিষ্টি মধুর স্মৃতি নিয়ে আবার চলে আসুন ভারতের ডেরা বাবা নানকে। আর ব্লগ টি এখানেই শেষ করছি কর্তারপুর নিয়ে আপনাদের মোটামোটি সমস্ত তথ্য ই দেওয়ার চেষ্টা করলাম যদি ভালো লাগে তবে একটা কমেন্ট এবং শেয়ার অবশ্যই করবেন, ধন্যবাদ সকলকে ।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন