বীরভূম জেলার জনপ্রিয় কয়েকটি পর্যটনস্থল
ভ্রমণ পিপাসু :- এই ব্লগে আমি আলোচনা করবো বীরভূম জেলার জনপ্রিয় যেসব ভ্রমণের জায়গা গুলো আছে সেগুলো নিয়ে। এমনিতেই বীরভূমে ঘোরার মত প্রচুর জায়গা, কিন্তু আমার দু-তিনটে( তাঁরাপিঠ, শান্তিনিকেতন) জায়গার বাইরে আমরা জানি না জানলেও যাওয়ার সাহস পায়না। তাই জানা অজানা মিলিয়ে সকলে যাওয়ার মতো আকর্ষনীয় কয়েকটি জায়গা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো সাথে সাথে সেই জায়গা গুলো কোথায় অবস্থিত, কেনো গুরুত্বপূর্ণ, কেমন করে পৌঁছোবেন, সমস্ত তথ্য আমি দেওয়ার চেষ্টা করবো, চলুন তাহলে ব্লগটি শুরু করা যাক......
১. হেতমপুর রাজবাড়ি :- বীরভূমে যদি জমিদারবাড়ি নাম নেওয়া যায় তাহলে সবার আগে আসবে এই হেতমপুর জমিদারবাড়ি। আদতে এটি জমিদারবাড়ি হলেও স্থানীয় লোকেরা একে রাজবাড়ি বলেই ডাকে। বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের একদম পাশেই অবস্থিত এই জমিদারবাড়ি।
হেতমপুর জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা হলেন রাধানাথ চক্রবর্তী, তার পূর্ব পুরুষেরা বাঁকুড়া থেকে এখানে এসেছিলেন। রাধানাথ চক্রবর্তী চাকরি পান, হেতমপুরেই রায় জমিদারবাড়িতে ধীরে ধীরে আরো বড় পদ পেয়ে যান। এরপর তিনি ধীরে ধীরে জায়গা জমি কিনে তার সম্পত্তি বাড়াতে থাকেন।তার মৃত্যুর পর তার পুত্র বিপ্রচরন জমিদারিকে আরো বিস্তৃত করতে থাকেন তিনিই এই জমিদার বংশের সর্বাধিক সফল জমিদার। তার সময়ে এই এলাকায় সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়েছিলো।
এখানে পুরোনো নতুন দুটো রাজবাড়ি আছে। পুরনো রাজবাড়িতে সরকারি স্কুল। এবং নতুন রাজবাড়িতে একটি বেসরকারি স্কুল (DAV) চলছে। এই বংশের পরবর্তী বংশঘর রামরঞ্জন চক্রবর্তী এই বাড়িটি বানিয়েছিলেন সেইজন্য একে রঞ্জন প্যালেস হিসেবেও ডাকা হয়।
এখানে আসার জন্য আপনাকে বীরভূমের দুবরাজপুরে আসতে, দুবরাজপুর শহরের একদম পাশেই অবস্থিত এই হেতমপুর আপনি ট্রেন ও এখানে আসতে পারেন কলকাতা বা আসানসোল রানিগঞ্জ থেকে আবার সড়কপথেও চলে আসতে পারেন। যারা উত্তরবঙ্গ থেকে আসবেন তার রামপুরহাট সাঁইথিয়া হয়ে এখানে আসতে পারেন।
২. সুরুল জমিদারবাড়ি:- ঐতিহাসিক দিক থেকে খুবই প্রাচীন এই জেলা বীরভূম। প্রাচীনকাল থেকেই এই জেলায় বহু জমিদারির পত্তন হয়েছিলো তারমধ্যে একটি হল এই সুরুল জমিদারবাড়ি।সুরুল বোলপুরের একদম কাছেই একটি গ্রাম যা শান্তিনিকেতন থেকে মাত্র ৩, ৪ কি.মি দূরে অবস্থিত। এই সুরুল গ্রামেরই সরকার বাড়ি যাকে সকলে সরকার জমিদারবাড়ি হিসেবেই চেনে।
সরকার পরিবারের আদি বাসভূমি ছিল বর্ধমানে এই সরকার বংশের আদি পুরুষ ভারত চন্দ্র সরকার তাদের সুরুলে অবস্থিত তাদের গুরুদেবের অনুরোধে সুরুলে এসে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে এই বংশের বংশধরেরা ইংরেজদের সাথে মিলিত হয়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। এই পরিবারে উন্নতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন শ্রীনিবাস সরকার। শ্রীনিবাস সরকার তার বংশধরেরা ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দে এই বাড়ি এবং দুর্গা মন্দির নতুন ভাবে নির্মাণ করেন। দুর্গাপূজার সময়ে এখানে খুব ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। পূজার সময়ে এখানে আসলে খুবই ভালো হবে তাছাড়া অন্য যেকোনো সময় এখানে চলে আসতে পারেন। আপনি বোলপুর বা শান্তিনিকেতন থেকে এই সুরুল জমিদারবাড়ি একটা টোটো রিজার্ভ করে ঘুরে যেতে পারেন ।
৩. মামা ভাগ্নে পাহাড় :- বীরভূমের দুবরাজপুর যদি আপনারা বেড়াতে আসেন তাহলে তাহলে আপনাদের একসাথে কিন্তু দু তিনটে জায়গা দেখা হয়ে যাবে একবারে, একটি হল হেতমপুর রাজবাড়ি দ্বিতীয় বক্রেশ্বর মন্দির, এই দুটি জায়গা নিয়ে আমি আগেই বলেছি তৃতীয় যে জায়গাটি হল মামা-ভাগ্নে পাহাড়। এই পাহাড় সম্পর্কে আমরা সকলেই প্রায় ছোটোবেলায় বইতে পড়েছি আমরা সকলে জানি। দুবরাজপুর স্টেশন থেকে প্রায় ৪ কিমি দূরে দুবরাজপুর - পাণ্ডবেশ্বর রাজ্য সড়কের একদম ধারেই এই পাহাড়টি অবস্থিত।
এই মামা ভাগ্নে পাহাড়ের আসে পাশে কয়েক কি.মি মধ্যের কিন্তু কোনো পাহাড় নেই, এখানে আসলে আপনার একদম মনে হবে কেউ যেনো প্রচুর বড় বড় পাথরকে এখানে এসে ফেলে দিয়েছেন, সেইজন্য এই পাহাড়কে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন কল্পকাহিনী। এখানে একটি খুব উচু পাহাড়েশ্বর বলে একটি মন্দির আছে, এই মন্দিরের ভেতর দিয়েই এই মামা ভাগ্নে পাহাড় যাওয়ার রাস্তা। এখানে পিকনিক করতেও প্রচুর মানুষ এসে থাকে।
এখানে আসবেন কেমন করে, সবার আগে আপনাকে দুবরাজপুর আসতে হবে ট্রেন বা সড়কপথে। এখানে আসার জন্য আপনি টোটো করে চলে আসতে পারেন অথবা পাণ্ডবেশ্বরের গাড়ি করে এখানে নেমে যেতে পারেন খরচা কিছুটা কম পড়বে। তাছাড়া এই দুবরাজপুরে যদি একদিন থাকেন তাহলে সাথে সাথে বক্রেশ্বর এবং হেতমপুর রাজবাড়ি ও একসাথে দেখে নিতে পারেন।
৪. শান্তিনিকেতন :- শান্তিনিকেতন নিয়ে বলার বেশি কিছু নেই সবাই হয়তো জানেন। শান্তিনিকেতনের প্রধান আকর্ষণই বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়, যার প্রতিষ্ঠাকাল ১৯২১ সালে কবিগুরুর দ্বারা। ১৯৫১ সালে এটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা পায়।
শান্তিনিকেতন ঘোরার মত প্রধান প্রধান জায়গা গুলো হলো পাঠভবন, অমর কুটীর, ছাতিমতলা, কলা ভবন, সঙ্গীত ভবন, প্রকৃতি ভবন, টেগর আশ্রম, কাঁচ ঘর উপসনা গৃহ, সিংহ সদন প্রভৃতি। বিশ্বভারতীর বাইরে দেখার মত এখানে আরো কিছু জায়গা আছে যেমন সোনাঝুরি ফরেস্ট এবং সোনাঝুরির হাট, একসাথে দেখে নেবেন খোয়াঁই।, সুরুল জমিদারবাড়ি, বল্লভপুর ভিয়ার পার্ক, কঙ্কালিতলা সতীপিঠ এবং পৌষ মেলা যেটা দেখার জন্য আপনাকে পৌষ সংক্রান্তির সময়ে এখানে আসতে হবে। মোটামোটি শান্তিনিকেতন এসে যদি এখানে দুদিন থাকেন তাহলে ভালো ভাবে ঘুরে নিতে পারবেন।
৫. মন্দিরের গ্রাম মলুটী :- এখন যে গ্রামটির কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, গ্রামটি কিন্তু বীরভূম জেলার মধ্যে অবস্থিত নয়। পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে একদম বাংলা - ঝাড়খণ্ড বর্ডারে, বীরভূমের রামপুরহাট থেকে এই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৫ কি.মি, গ্রামের প্রায় সকলেই বাঙালি সেইজন্য এই গ্রামটিকে বীরভূমের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছি। গ্রামটির নাম হলো মলুটী যেটি ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার শিকারীপাড়া ব্লকে অন্তর্গত। এই গ্রামে আছে ৭২ খানা টেরাকোটার মন্দির। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মা তাঁরার ছোটো বোন হিসাবে পরিচিত মা মৌলীক্ষা মন্দির এখানে আছে যেটা রাজা বসন্ত রায়ের কূলদেবী।
রাজা বসন্ত রায়ের রাজ্য ছিলেন এই এলাকার রাজা তাকে বাজ বসন্ত বলেও ডাকা হতো। কারণ তিনি রাজা হওয়ার আগে বাংলার নবাব আলাউদ্দিন হুসেন শাহের পোষা বাজপাখি কে ধরে টা নবাব কে ফেরৎ দিয়েছিলেন, তারই পুরস্কার হিসাবে নবাব তাকে এই রাজ্যেটি পুরস্কার হিসেবে দিয়েছিলেন। এখানেই রাজা বসন্ত রায়ের কূল দেবী মা মৌলীক্ষা মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন এছাড়াও আরো অনেক টেরাকোটার মন্দির নির্মাণ করেন, যেগুলো আপনি গ্রামে ঢোকার সাথে সাথেই দেখতে পাবেন, এতো গুলো মন্দির কিন্তু একসাথে খুব কম জায়গাই দেখা যায়।
সাধক বামাখ্যাপা এখানে প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত করেছিলেন, তাঁরাপিঠের আগে তিনি এই মন্দিরেই সাধনা কলেছিলেন। এখানে তিনি মায়ের জন্য ভোগ রান্নার ব্যবস্থা করা থেকে শুরু মন্দিরের সমস্ত কাজই করতেন। তার সারাদিনের বেশিরভাগটাই এই মন্দিরের কাটতো। এই মন্দিরেই তিনি প্রথমবারের জন্য তিনি মায়ের দর্শন ও আশীর্বাদ পান, তারপর তিনি রাজা বসন্ত রায়ের মলুটী ছেড়ে সাধনার জন্য তাঁরাপিঠে চলে আসেন। এখানে পৌঁছতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম রামপুরহাট পৌঁছতে হবে তারপর আপনি একটি টোটো রিজার্ভ করে এখানে চলে আসতে পারেন বাসে যদি আসতে চান তাহলে ম্যাসাঞ্জোর বা দুমকার বাস ধরে মলুটী স্টপেজে নেমে পড়বেন, গ্রাম ঢোকার মুখেই দারুণ এক গেট করা আছে, এই গেট থেকে গ্রাম মাত্র ১ কি.মি এখানে টোটো ও পেয়ে যাবেন গ্রামের ভেতরে যাওয়ার জন্য। ভেতরে কিন্তু প্রায় অনেকটা সময়ই লাগবে তাই হাতে সময় নিয়ে আসবেন।।
৬. জয়দেব কেন্দুলি :- জয়দেব কেন্দুলি বীরভূমের ইলমবাজার ব্লকের অজয় নদীর তীরে অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রাম। গ্রামটি ছোটো হলেও গ্রামের এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। মনে করা হয় এই গ্রামেই নাকি গীতগোবিন্দের রচয়িতা এবং রাজা লক্ষণ সেনের সভাকবি জয় দেবের জন্ম হয়েছিল। সেই থেকেই গ্রামটির সাথে জয়দেব নামটি যুক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এটা নিয়েও বিতর্ক আছে, কারো কারো মতে কবি জয়দেবের জন্মস্থান ওড়িশাতে, ওড়িশাতে ও কেন্দুলি নামে আরো একটি গ্রাম আছে।
গ্রামটি ধীরে ধীরে ধর্ম ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে নাম করা যায় বাউলের। বাউলের মোটামোটি রাজধানী বলতে পারেন বীরভূমের এই গ্রামকে। বাউলকে কেন্দ্র করে এখানে বিভিন্ন আখড়া আশ্রম গড়ে উঠেছে, গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মন্দির। তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হলো রাধাবিনোদ মন্দির। টেরাকোটা এবং নবরত্ন শৈলীতে নির্মিত এই মন্দির। প্রতি বছর এখানে পৌষ সংক্রান্তির সময়ে অজয় নদীর ধারে বিশাল মেলা বসে, যাকে বাউলের মেলা ও বলা হয়। জয়দেব যদি আপনাদের আসার প্ল্যান থাকে তাহলে এই মেলার সময়েই আসবেন আর এখানে আসলে বাউলের মনের মানুষ আখড়া থেকে অবশ্যই ঘুরে যাবেন, দেশ বিদেশের বিভিন্ন বাউল প্রেমী ও শিল্পীদের এখানে দেখতে পাবেন।
আপনি এখানে আসার জন্য দুর্গাপুর, বোলপুর বা সিউড়ি যেকোনো জায়গা থেকেই বাসে এখানে চলে আসতে পারেন। দুর্গাপুর হয়ে আসার জন্য অজয় নদীর ওপরে ব্রিজ টি এখনো নির্মাণ চলছে ওটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আসা আরো সহজ হয়ে যাবে।
৭.তিলপাড়া ব্যারেজ :- বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি থেকে মোটামোটি প্রায় ৬ কি.মি দূরে তিলপাড়া নামক স্থানে ময়ুরাক্ষী নদীর ওপর অবস্থিত এই তিলপাড়া ব্যারেজ। ময়ুরাক্ষী নদী অত্যাধিক বন্যা প্রবনতার কারণে তারওপর বেস কয়েকটি বাঁধ ও ব্যারাজ নির্মাণ করা হয়েছে, তিলপাড়া ছাড়াও আছে ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ।
ময়ুরাক্ষী নদীর জলের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে এখানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই প্রজেক্টে আছে সর্বমোট ১৫ স্লুইস গেট। ব্যারেজের মোট দৈর্ঘ্য ৩০৯ মিটার। আপনি সিউড়ি এসে গাড়ি কিংবা টোটো পেয়ে যাবেন এই তিলপাড়া আসার জন্য বাসে আসতে চাইলে ম্যাসাঞ্জোরের বাস ধরে এখানে নেমে যেতে পারেন।
৮. নন্দীকেশ্বরী মন্দির :- বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরের একদম কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নন্দীকেশ্বরী মন্দির। পুরান মতে এখানে দেবীর গলার অলঙ্কার পড়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা নন্দিনী। নন্দীকেশ্বরী সহ আমাদের রাজ্যের সবগুলো সতীপিঠ সম্পর্কে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন আমার লেখা এই ব্লগে....
- আরো পড়ুন - পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত সমস্ত ৫১ সতীপিঠ
৯. তাঁরাপিঠ মন্দির : - আমাদের রাজ্যের মধ্যে ৫১ সতীপিঠের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত নাম হলো তাঁরাপিঠের মা তাঁরার মন্দির। এই মন্দিরে আমাদের রাজ্য বাদেও বাইরের রাজ্য থেকেই প্রচুর ভক্ত এবং দর্শনার্থীরা এখানে মায়ের দর্শন করার জন্য আসে । এটি বীরভূম জেলার রামপুরহাটের কাছে মারগ্রাম থানার অন্তর্গত। পৌরাণিক মতে এখানে দেবীর তৃতীয় নয়ন বা নয়নতারা পড়েছিলো। তাঁরাপিঠ সহ আমাদের রাজ্যের সবগুলো সতীপিঠ সম্পর্কে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন আমার লেখা এই ব্লগে...
- আরো পড়ুন - পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত সমস্ত ৫১ সতীপিঠ
১০. বক্রেশ্বর মন্দির :- বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের খুব কাছেই অবস্থিত এই বক্রেশ্বর মন্দির। এখানে আসলে দেবীর সতীপিঠ ছাড়াও দেবাধিদেব মহাদেবের ১২ টি মন্দির আপনারা দেখতে পাবেন, তার সাথে সাথে এখানে একটি উষ্ণ প্রশ্রবন বা গরম জলের কুণ্ড দেখতে পাবেন। এখানে দেবীর ভ্রু দুটির মধ্যবিত্ত অংশ পতিত হয়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মহিষমর্দিনী। বক্রেশ্বর সহ আমাদের রাজ্যের সবগুলো সতীপিঠ সম্পর্কে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন আমার লেখা এই ব্লগে....
- আরো পড়ুন - পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত সমস্ত ৫১ সতীপিঠ
১১. নলাটেশ্বরী মন্দির :- আমি আগেই আপনাদের বলেছিলাম যে বীরভূম জেলাতেই আছে মোট পাঁচটি মায়ের সতীপিঠ মন্দির, তার মধ্যে একটি হলো এই নলাটেশ্বরী মন্দির । যেটি বীরভূমের নলহাটি শহরে অবস্থিত। এই মন্দিরে সতীর শ্বাসনালী সহ কন্ঠনালী পতিত হয়েছিলো। এই পিঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা কালিকা। কঙ্কালিতলা সহ আমাদের রাজ্যের সবগুলো সতীপিঠ সম্পর্কে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন আমার লেখা এই ব্লগে....
- আরো পড়ুন - পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত সমস্ত ৫১ সতীপিঠ
১২. কঙ্কালিতলা মন্দির :- বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের কাছে কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দির। পুরান মতে এই কঙ্কালিতলা মন্দিরে সতীর অস্থি পড়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা দেবগর্ভা । কঙ্কালিতলা সহ আমাদের রাজ্যের সবগুলো সতীপিঠ সম্পর্কে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন আমার লেখা এই ব্লগে....
- আরো পড়ুন - পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত সমস্ত ৫১ সতীপিঠ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন