পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত সমস্ত ৫১ সতীপিঠ। All 51 Satipeeths in West Bengal

 পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত ৫১ সতীপিঠ

ভ্রমণ পিপাসু :- ৫১ সতীপিঠ বা শক্তিপীঠের উৎপত্তির সাথে জড়িয়ে আছে এক পৌরাণিক কাহিনী। সেই পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কে অনেকেই হয়তো অবগত আছেন। এই ৫১ সতীপিঠ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তারমধ্যে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাও আছে। আমাদের দেশের মধ্যে কিন্তু আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সতীপিঠ আছে, এটা হয়তো অনেকেরই জানা নেই, আমাদের রাজ্যে সর্বমোট ১৩টি সতীপিঠ অবস্থিত, এর মধ্যে বীরভূম জেলাতেই আছে ৫টি। তাই এই ব্লগে আমি আমাদের রাজ্যের ১৩টি সতীপিঠ নিয়েই আলোচনা করবো তাতে আমাদের রাজ্যের ১৩ খানা সতীপিঠের অবস্থান, কেমন করে যাবেন এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আপনাদের দেওয়ায় চেষ্টা করবো।


সতীপিঠের উৎপত্তির পৌরাণিক কাহিনী :- দেবী সতী এবং দেবাধিদেব মহাদেবের এক অমর প্রেম কাহিনী জড়িয়ে আছে। প্রজাপতি দক্ষ রাজার কন্যা ছিলেন দেবী সতী। রাজা দক্ষ দেবাধিদেব মহাদেব কে একদমই সহ্য করতে পারতেন না কিন্তু দেবী সতী পিতার কথাকে অগ্রাহ্য করে মহাদেবের সাথে বিবাহ করেন। এরজন্য প্রজাপতি দক্ষ মহাদেবের ওপরে খুবই রুষ্ট ছিলেন, এখন তাকে অপমান করার জন্য এক বিরাট যজ্ঞের আয়োজন করেন যেখানে সমস্ত দেবী দেবতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও মহাদেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

এতে দেবী সতী খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে দেবাধিদেব মহাদেবের অমতে যজ্ঞ স্থানে এসে উপস্থিত হোন এবং পিতার কাছে তার স্বামীকে আমন্ত্রন না করার কারন জানতে চান,সেই প্রশ্নের উত্তরে দক্ষরাজা ভগবান শিবকে আর চূরান্ত ভাবে অপমান করেন। স্বামীর এই চূরান্ত অপমান দেবী সতী আর সহ্য করতে পারছিলেন না, এবং ক্রোধে, অপমানে নিজেকে যজ্ঞকুন্ডে আহুতি দেন। এই খবর শোনা মাত্র মহাদেব প্রচন্ড ক্রুদ্ধ হয়ে তার রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন, এবং সেখানে তার অংশ বীরভদ্র কে পাঠান, বীরভদ্র এসে রাজা দক্ষের শিরছেদ করেন। এরপর মহাদেব সতীর নিথর দেহকে কাঁধে তুলে নিয়ে প্রলয় নৃত্য শুরু করেন এর জন্য জগৎ এক ধ্বংসের সম্মুখীন হয় এই প্রলয়ের হাত থেকে রক্ষাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, তিনি তার সুদর্শন চক্র দ্বারা মাতা সতীর শরীরকে ছিন্ন করে দেন, মাতা সতীর দেহের ৫১টি খণ্ড যে সব জায়গায় গিয়ে পতিত হয় সেই জায়গা গুলোকেই ৫১ সতীপিঠ হিসেবে পুজো করা হয়। দেবাধিদেব মহাদেব এই ৫১ সতীপিঠের রক্ষা করার জন্য ভৈরবনাথ কে পাঠান, যাকে শিবের অংশ হিসেবে মানা হয়, সেইজন্য প্রতিটি সতীপিঠের পাশে বাবা ভৈরবনাথের মন্দির দেখতে পাবেন, সতীপিঠে মায়ের মন্দির দর্শন করার পাশাপাশি, ভৈরবনাথের মন্দিরও দর্শন করতে হয়।

পশ্চিমবঙ্গে ৫১টি সতীপিঠের অবস্থান :- আমি আগেই বলেছিলাম যে আমাদের রাজ্যেই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২টি সতীপিঠ আছে, তার মধ্যে বীরভূম ও বর্ধমান জেলা মিলিয়ে পাশাপাশি অবস্থিত ৯টি সতীপিঠ। আসুন এক এক করে সেই জায়গা গুলো আমরা দেখে নি...

১. কলকাতার কালীঘাট।

২. পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে অবস্থিত মা বর্গভীমা।

৩. বক্রেশ্বর, বীরভূম।

৪. নন্দীকেশ্বরী, সাঁইথিয়া, বীরভূম।

৫. নলাটেশ্বরী, নলহাটি , বীরভূম।

৬. কঙ্কালিতলা, বোলপুর, বীরভূম।

৭. তাঁরাপিঠ, রামপুরহাট, বীরভূম ।

৮. অট্টহাস, কেতুগ্রাম বর্ধমান । 

৯. বহুলা, কেতুগ্রাম, বর্ধমান।

১০. যোগাদ্যা, ক্ষীরগ্রাম, বর্ধমান।

১১. কিরীটেশ্বরী, মুর্শিদাবাদ।

১২. ভ্রামরীদেবী, জলপাইগুড়ি।

১৩. উজানি মঙ্গলচণ্ডী মন্দির মঙ্গলকোট, বর্ধমান।

১. কালিঘাট মন্দির :- রাজধানী কলকাতার কালীঘাট এলাকায় অবস্থিত এই মন্দির। মন্দিরের থেকেই এই এলাকার নাম কালীঘাট হয়েছে। এখানে দেবীর ডান পায়ের আঙুল পড়েছিলো, এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা কালিকা। 

কালিঘাট সতীপিঠ ।

কালিঘাট মেট্রো স্টেশন থেকে এই মন্দিরের দূরত্ব ১ কি.মি থেকেও কম। সবচেয়ে ভালো হবে আপনারা মেট্রো করে এখানে চলে আসুন সামান্য পথ আপনাকে হাঁটতে হবে, তবে এখানে পাণ্ডার দৌরাত্ম্য কিন্তু খুব বেশি।

২.বর্গভীমা মন্দির :- কলকাতা শহরের খুব কাছেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুকে অবস্থিত এই সতীপিঠ। পৌরাণিক মতে এখানে দেবীর পায়ের নূপুর পড়ছিল। এই বর্গভীমা মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা কপালিনী।


আপনি কলকাতা বা হাওড়া থেকে বাস বা লোকাল ট্রেন করে সোজা চলে আসতে পারেন তমলুকে। তারপর স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে টোটো ধরে এই মন্দিরে চলে আসতে পারেন

৩.বক্রেশ্বর মন্দির :- বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের খুব কাছেই অবস্থিত এই বক্রেশ্বর মন্দির। এখানে আসলে দেবীর সতীপিঠ ছাড়াও দেবাধিদেব মহাদেবের ১২ টি মন্দির আপনারা দেখতে পাবেন, তার সাথে সাথে এখানে একটি উষ্ণ প্রশ্রবন বা গরম জলের কুণ্ড দেখতে পাবেন। এখানে দেবীর ভ্রু দুটির মধ্যবিত্ত অংশ পতিত হয়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মহিষমর্দিনী। 

বক্রেশ্বর সতীপিঠ।

এই বক্রেশ্বরে আসার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হবে আপনি ট্রেন করে সিউড়ি বা দুবরাজপুরে নেমে সেখান থেকে অটো ছোট গাড়ি বা বাস পেয়ে যাবেন।

৪. নন্দীকেশ্বরী মন্দির :- বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরের একদম কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নন্দীকেশ্বরী মন্দির। পুরান মতে এখানে দেবীর গলার অলঙ্কার পড়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা নন্দিনী। 

নন্দীকেশ্বরী মন্দির।

এই মন্দিরটি সাঁইথিয়া জংশন স্টেশনের একদম কাছেই অবস্থিত আপনি ট্রেনে সাঁইথিয়া স্টেশনে নেমে পায়ে হেঁটে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন। তাছাড়া বাসে ও আসতে পারেন চাইলে।

৫. নলাটেশ্বরী মন্দির :- আমি আগেই আপনাদের বলেছিলাম যে বীরভূম জেলাতেই আছে মোট ছয়টি মায়ের সতীপিঠ মন্দির, তার মধ্যে একটি হলো এই নলাটেশ্বরী মন্দির ।যেটি বীরভূমের নলহাটি শহরে অবস্থিত। এই মন্দিরে সতীর শ্বাসনালী সহ কন্ঠনালী পতিত হয়েছিলো। এই পিঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা কালিকা ।

নলাটেশ্বরী সতীপিঠ ।

এই মন্দিরটি ও নলহাটি শহরে একদম অবস্থিত ।আপনি যদি ট্রেনে আসেন তাহলে খুবই সহজ হবে, নলহাটি জংশন থেকে এই মন্দিরের দূরত্ব মাত্র ১.৫ কি.মি, আপনি স্টেশনে নেমে টোটো ধরে এখানে সহজে পৌঁছে যাবেন।

৬. তাঁরাপিঠ মন্দির : - আমাদের রাজ্যের মধ্যে ৫১ সতীপিঠের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত নাম হলো তাঁরাপিঠের মা তাঁরার মন্দির। এই মন্দিরে আমাদের রাজ্য বাদেও বাইরের রাজ্য থেকেই প্রচুর ভক্ত এবং দর্শনার্থীরা এখানে মায়ের দর্শন করার জন্য আসে । এটি বীরভূম জেলার রামপুরহাটের কাছে মারগ্রাম থানার অন্তর্গত। পৌরাণিক মতে এখানে দেবীর তৃতীয় নয়ন বা নয়নতারা পড়েছিলো। মনে করা হয় ঋষি বশিষ্ঠ মুনির উদ্যোগে এখানে প্রথম পুজো শুরু হয়।

তাঁরাপিঠ ।

তাঁরাপিঠে আসা খুবই সহজ, সর্বপ্রথম আপনাকে রামপুরহাটে আসতে হবে। রামপুরহাট স্টেশন থেকে প্রচুর অটো, ছোটো গাড়ি, বাস আপনারা পেয়ে যাবেন তাঁরাপিঠে আসার জন্য। আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে গাড়ি পাওয়ার জন্য কোনো অসুবিধা আপনাদের হবে না। তাঁরাপিঠে আসলে আপনারা পাশেই আটলা গ্রামে সাধক বামাখ্যাপার জন্মভিটে অবশ্যই একবার পারলে ঘুরে যাবেন।

৭.কঙ্কালিতলা মন্দির :- বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের কাছে কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দির। পুরান মতে এই কঙ্কালিতলা মন্দিরে সতীর অস্থি পড়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা দে বগর্ভা ।

কঙ্কালিতলা সতীপিঠ ।

কঙ্কালিতলা আসার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম হল ট্রেন। আপনি বোলপুর বা প্রান্তিক যেকোনো স্টেশনে নেমে এই মন্দিরে চলে আসতে পারেন। প্রান্তিক স্টেশন থেকে একটু কাছে হয়, ৫ কি.মি মতো । বোলপুর স্টেশনে নেমে বাস, অটো পেয়ে যাবেন কঙ্কালিতলা আসার জন্য। আর একটা কথা বলে রাখি আপনাদের ট্রেনের স্টপেজ যদি প্রান্তিকে থাকে তাহলে বেস্ট হবে আপনাদের জন্য।


৮. কিরিটেশ্বরী মন্দির :- বীরভূম, বর্ধমান থেকে এবার চলে আসুন মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র সতীপিঠ প্রায় ১০০০ বছরের পুরোনো কিরিটেশ্বরী মন্দির। প্রকৃত মন্দিরটি ১৪০৫ সালে ধংস করা হয়েছিলো, তারপর ঊনবিংশ শতকে আবার লালগোলার রাজা দর্পনারায়ণের দ্বারা পুর্ননির্মান করা হয়। এই মন্দিরটি অবস্থিত মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম ব্লকের অন্তর্গত পাঁচগ্রাম-নবগ্রাম-লালগোলা সড়কের ধারে কিরিটকোনা গ্রামে। এই মন্দিরের দেবীর মুকুট পতিত হয়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা বিমলা।

কিরিটেশ্বরী সতীপিঠ ।

এখানে আসার জন্য আপনাকে বহরমপুরে আসতে হবে। তাছাড়া আপনি অন্য জায়গা থেকেও আসতে পারেন ।বহরমপুর শহর থেকে এর মন্দিরের দূরত্ব মাত্র ১৮ কি.মি। বহরমপুরের খাগরাঘাট রোড স্টেশন থেকে কাটোয়া -আজিমগঞ্জ লাইনের ট্রেন ধরে ডাহাপাড়া ধাম স্টেশনে, এখান থেকে এই মন্দিরের দুরত্ব মাত্র ৩ কি.মি। আপনারা কলকাতা থেকে আসতে চাইলে হাওড়া - কাটোয়া লোকাল ধরে কাটোয়া স্টেশন, তারপর কাটোয়া-আজিমগঞ্জ লোকাল ধরে ডাহাপাড়া ধাম স্টেশন, তারপর টোটো ধরে এই মন্দিরে।

৯ .যোগাদ্যা শক্তিপীঠ :- পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্ষীরগ্রামে যোগাদ্যা সতীপিঠটি অবস্থিত ।এখানে দেবীর ডান পায়ের বৃদ্ধাঙুল পড়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা যোগাদ্যা ।

যোগাদ্যা শক্তিপীঠ।

এই যোগাদ্যা মন্দিরটি কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোট ব্লকের ক্ষীরগ্রামে অন্তর্গত । এখানে পৌঁছতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম যেকোনো ভাবে বর্ধমান বা কাটোয়াতে আসতে হবে। তারপর বাস বা ট্রেন এখানে চলে আসতে পারেন। বর্ধমান কাটোয়া লোকাল লাইনে কৈচর হল্ট স্টেশনে নেমে খুব সহজে এখানে চলে আসতে পারবেন।

১০ . মঙ্গলচণ্ডী মন্দির :- বর্ধমান জেলায় অবস্থিত মায়ের আরো একটি সতীপিঠ হল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলচণ্ডী মন্দির। যা অবস্থিত এই জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের কোগ্রামে, একদম অজয় ও কুনুর নদীর সঙ্গমস্থলের পাশে। এখানে দেবী সতীর ডান কব্জি পতিত হয়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা মঙ্গলচণ্ডীকা।

মঙ্গলচণ্ডী সতীপিঠ ।

এখানে আসার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম যেকোনো ভাবে বর্ধমান বা কাটোয়াতে আসতে হবে। কাটোয়া থেকে দূরত্ব একটু কম। কাটোয়া বা বর্ধমান থেকে আপনাকে পৌঁছতে হবে বাসে মঙ্গলকোটে। তারপর টোটো করে আপনাকে পৌঁছতে হবে কোগ্রামে এই মন্দিরে যা একদম অজয় নদীর তীরে।

১১. বহুলা সতীপিঠ :- বর্ধমান জেলায় অবস্থিত মা সতীর আরো একটি মন্দির বহুলা সতীপিঠ, যা পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম ব্লকে অন্তর্গত। এখানে মা সতীর বাম হাত পড়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা বহুলা বা বেহুলা।

বহুলা সতীপিঠ।

এখানে পৌঁছোনোর জন্য আপনাকে পৌঁছোতে হবে সর্বপ্রথম কাটোয়া জংশন স্টেশন। কাটোয়া আসার জন্য লোকাল ট্রেন বা বাস পেয়ে যাবেন। কাটোয়া নেমে আপনাকে বাসে যেতে হবে অথবা লোকাল ট্রেন ধরে পাচুন্ডী স্টেশন নেমে এখানে চলে আসতে পারেন, দূরত্ব মাত্র ৩ কি.মি।

১২. ভ্রামরিদেবী মন্দির :- উত্তরবঙ্গে অবস্থিত একমাত্র সতীপিঠ ত্রিস্রোতা মা ভ্রামরিদেবী মন্দির, যা অবস্থিত জলপাইগুড়ি জেলায়। জলপাইগুড়ি শহর থেকে ১৮ কি.মি দূরে শালবাড়ি, বোদাগঞ্জে। এখানে দেবীর বাম পা পতিত হয়েছিলো। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন মা ভ্রামরি।ভ্রামরিদেবী

ভ্রামরিদেবী সতীপিঠ ।

এখানে আসতে হলে আপনি জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি যেকোন জায়গা থেকেই আসতে পারেন। গাড়ি রিজার্ভ করে নিলে খুব ভালো হয় বাইক থাকলে আরো ভালো। Njp স্টেশনে নেমে একটা গাড়ি ভাড়া করে এই জায়গাটি দেখে নিতে পারেন।

১৩. অট্টহাস ৫১ সতীপিঠ :- পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের নিরোল গ্রামের কাছে দক্ষিণডিহিতে অবস্থিত এই অট্টহাস ৫১ সতীপিঠ মন্দির। এর উত্তরে ঈশাণী নদী ও কিছুটা দূরে শ্মশান ।এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পীঠ।মন্দিরের কাছেই কিছু পিকনিক স্পট ।জঙ্গলঘেরা নিরিবিলি পরিবেশ এখানে।এখানে দেবী ফুল্লরা ও ভৈরব বিশ্বেশ ।এখানে দেবীর দন্তুরা চামুণ্ডা মূর্তি ।এখানে দেবীকে অধরেশ্বরী নামে পূজা করা হয়।


এই মন্দিরের পৌঁছতে হলে আপনাকে প্রথমত লোকাল ট্রেনে পৌঁছতে হবে কাটোয়া। তারপর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস ধরে নিরল স্টপেজ, সেখান থেকে টোটো রিজার্ভ করে দক্ষিণডিহির এই অট্টহাস মন্দিরে।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন