ভ্রমণ পিপাসু :- মিতালি এক্সপ্রেস, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চালু হওয়া তৃতীয় ট্রেন। এর আগে ২০০৮ সালে চালু হয়েছিলো কলকাতা ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস যেটা কলকাতা স্টেশন ও ঢাকার মধ্যে যাতায়াত করে, দ্বিতীয় ট্রেনটি হলো কলকাতা খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস এ দুটি ট্রেনই করোনা মহামারীর কারণে প্রায় ২ বছর বন্ধ থাকার পর গত ২৯ এ মে আবার চালু হয়েছে। যার ফলে খুশির হাওয়া দুদেশের মানুষের মধ্যে। কিন্তু এই খুশি আরো বেড়ে গেছে দু-দেশের মধ্যে তৃতীয় ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস চালু হওয়ার কারণে। এই মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাকি দুটো ট্রেন থেকে একটু আলাদা কেনো তার কারণ হচ্ছে এই ট্রেন উত্তরবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করছে আগের দুটি ট্রেনই কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে একটি নদীয়ার গেঁদে-দর্শনা বর্ডার দিয়ে এবং একটি বনঁগার পেট্রাপোল-বেনাপোল বর্ডার হয়ে যাতায়াত করছে, কিন্তু এই ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন কে সরাসরি যুক্ত করবে ঢাকার সাথে।
নামকরন:- ১৩১৩২আপ ও ১৩১৩১ডাউন মিতালি এক্সপ্রেসের নামকরন করেন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি এই প্রস্তাব ভারত সরকারকে দিলে, ভারত সরকারের কাছ থেকেও তা অনুমোদিত হয়। যা যাত্রা শুরু করলো ১জুন ২০২২ থেকে।
ট্রেন ও ভাড়া :- ডিজেল ইঞ্জিন চালিত ১৩১৩২আপ ও ১৩১৩১ ডাউন মিতালি এক্সপ্রেসে থাকবে টোটাল ১০টি কামরা। এর মধ্যে যাত্রীদের জন্য থাকছে ৮টি। এর মধ্যে ৪টি এসি চেয়ার কার এবং ৪টি এসি স্লিপার কোচ।
এবার আসি ভাড়ার ব্যাপারে। NJP থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত এসি চেয়ারকারের ভাড়া ভারতীয় মুদ্রায় ১৭৭০ টাকা এবং এসি স্লিপারের ভাড়া - ২৬৫৫ ।
একইরকম ভাবে ঢাকা - NJP..
চেয়ারকার- ১৬৬৫
স্লিপার - ৩৩৬৫.
মিতালি এক্সপ্রেস ছুটছে হলদিবাড়ি বর্ডার পার হয়ে বাংলাদেশের দিকে। |
যাত্রাপথ ও সময়সূচি :- ট্রেনটি ভারতীয় সময় সকাল ১১.৪৫ মিনিটে NJP থেকে ছেড়ে জলপাইগুড়ি টাউন, হলদিবাড়ি হয়ে, বাংলাদেশ চিলাহাটি স্টেশনে প্রবেশ করবে এরপর নীলমাফারি হয়ে রাজধানী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পৌঁছবে রাত ১০.৩০এ। একইরকম ভাবে ঢাকা থেকে রাত ৯.৫০ ছেড়ে NJP ঢুকবে পরেরদিন সকাল ৭.১৫ তে। মাঝে আর কোনো জায়গায় দাঁড়াবে না ট্রেনটি। NJP থেকে চিলাহাটি বর্ডার পর্যন্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবে RPF এবং BSF, চিলাহাটি স্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবে BGB।
টিকিট ও অভিভাসন :- এই ট্রেনের টিকিট কেবলমাত্র অফলাইনেই কাটতে হবে, অনলাইন সাইটে এই টিকিট পাওয়া যাবেনা।
টিকিট পাওয়া যাবে NJP স্টেশন, কলকাতা স্টেশন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন, কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের সদর দফতরে।
নথি:- টিকিটের জন্য দেখাতে হবে ভারত বা বাঙলাদেশের হলে সেই দেশের পাসপোর্ট, এবং ভিসা।
অভিভাসন:- NJP স্টেশনে 1A প্ল্যাটফর্মে কতগুলো কাউন্টার রয়েছে, ঢাকা স্টেশনেও একইরকম ব্যবস্থা রয়েছে। নথি পরীক্ষার জন্য কিছুটা সময় লাগবে তাই কিছুটা সময় আগে অবশ্যই আসবেন।
প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জুন তারিখে NJP থেকে এই ট্রেনের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর পূর্বে রেলের DRM অংশুল গুপ্ত, ভিডিও কনফারেন্সে দিল্লি ও ঢাকা থেকে ছিলেন দু দেশের রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং নুরুল ইসলাম সুজন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন