ভ্রমণ পিপাসু :- কেরালা, God's Own County যাকে প্রাচ্যের ভেনিসও বলা হয়। কেরালা দক্ষিণ ভারতের ছোট্ট এবং সুন্দর একটি রাজ্যে। পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল এবং সুন্দর সুন্দর চা বাগান দিয়ে ঘেরা এই বৈচিত্র্যময় রাজ্যটি ভ্রমণের পক্ষে একদমই উপযুক্ত, কিন্তু কেরালা ঘুরতে আসতে অনেকেই ভয় পান, তাদের ধারণা ভাষাগত ও খাওয়ারের সমস্যা, অত্যধিক খরচ এবং দূরত্বগত সমস্যা। বিশ্বাস করুন ভাষা নিয়ে আপনার বিশেষ কোনো সমস্যা হবে না। জায়গাটা কস্টলি, বিশেষ করে খাওয়ার দাওয়ার সেটা ঠিক, কিন্তু ওখানকার মানুষ অনেক হেল্পফুল যাতে আপনাদের বিশেষ কোনো অসুবিধা হবে না।
- ভিডিওটি দেখুন - কেরালা ভ্রমণের সমস্ত খুঁটিনাটি বাংলায়
কেরালায় কেমন করে পৌঁছোবেন, গিয়ে আপনারা কেমন করে ঘুরবেন, কোথায় কোথায় থাকবেন, কত খরচা হতে পারে, এই ব্লগে সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা করবো। আপনাদের টেনশন করার একদমই দরকার নেই কেরালা ভ্রমণের সমস্ত খুঁটিনাটি আমি এই ব্লগে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো চলুন তাহলে শুরু করা যাক...
- ভিডিও টি দেখুন - প্রাচ্যের ভেনিস আলেপ্পি
কেরালা কেমন করে পৌঁছোবেন :- কেরালা আপনারা দুভাবে পৌঁছতে পারেন এক ফ্লাইটে দুই ট্রেনে। হাওড়া বা শালিমার থেকে আপনারা ট্রেনের কয়েকটি অপশন পেয়ে যাবেন, যে ট্রেন গুলো করে আপনাকে পৌঁছতে হবে কেরালার এরনাকুলাম জংশনে। এরনাকুলাম আসলে কেরালার রাজধানী কোচি শহরই। কোচির জমজ শহর ও বলা হয়ে থাকে এরনাকুলাম কে। কিন্তু সরাসরি ট্রেন আপনারা প্রতিদিন পাবেন না। আপনাদের ডেট যদি না মিলে তাহলে আপনারা ভায়া চেন্নাই হয়ে যেতে পারেন চেন্নাই থেকে কোচি বা আলেপ্পি যাওয়ায় প্রচুর ট্রেন পেয়ে যাবেন আর হাওড়া থেকেও চেন্নাই এর ট্রেনের কোনো অভাব নেই। এমন ট্রেনই বুক করবেন যেগুলো বিকাল ৪টার মধ্যে চেন্নাই ঢুকে যায়। তাহলে একটু রেস্ট নিয়ে আপনারা কেরালার ট্রেন ধরতে পারেন। লাস্ট ট্রেন আছে রাত ১১.৪০ এ।
Ernakulam JN, Kochi,Kerala |
আপনারা এরনাকুলাম হয়ে না গিয়ে উলটো দিক কন্যাকুমারী হয়েও আপনাদের কেরালা যাত্রা শুরু করতে পারেন। অনেকে যাত্রা এরনাকুলাম বা কোচি থেকে শুরু করে কন্যাকুমারী তে এসে শেষ করে আবার অনেকে কন্যাকুমারী থেকে শুরু করে কোচিতে এসে তাদের যাত্রা শেষ করে। সেক্ষেত্রে হাওড়া থেকে সরাসরি কন্যাকুমারীর ট্রেন পেয়ে যাবেন কিন্তু ডেইলি পাবেন না, ডেইলি পাবেন একমাত্র ভায়া চেন্নাই হয়ে।
এবার আসি ফ্লাইটের অপশন, ফ্লাইটের ভাড়া কিন্তু একটু বেশি কেরালার জন্য। কিছু ফ্লাইট সরাসরি ও আছে কিছু ভায়া চেন্নাই হয়ে যায় কোচি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। আমরা খরচা বাঁচানোর জন্যে চেন্নাই পর্যন্ত ফ্লাইটে গিয়ে ওখান থেকে রাতের ট্রেনে পৌঁছেছিলাম কেরালা ভাড়া পড়েছিলো ৬০০০ টাকার মতো। আপনারাও এটা করতে পারেন, বা যাওয়া টা পুরো ফ্লাইটে গিয়ে কন্যাকুমারী থেকে ট্রেনে ফিরতে পারেন একটু আগে বুক করলে ৬৫০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন ফ্লাইট।
- ভিডিওটি দেখুন - কেরালা ভ্রমণের সমস্ত খুঁটিনাটি বাংলায়
কতদিনের ট্যুর প্ল্যান করবেন :- কেরালা ট্যুর প্ল্যান কত দিনের করবেন সেটা আপনারাই ঠিক করবেন। বিভিন্ন ধরনের প্ল্যান আছে আর কেরালাতে ঘুরার মত জায়গার অভাব নেই, আপনি যেই জেলায় যান না কেনো সব জায়গায়ই আলাদা আলাদা ভাবে সুন্দর। কেরালা ট্যুর প্ল্যান সবচেয়ে কম ৪ রাত ৫ দিনের হতে পারে এর চেয়ে কম দিনের যদি করতে চান তাহলে না আসাই ভালো, এতো টাকা খরচা করে যখন এতদূর আসবেন। কলকাতা থেকে কলকাতা মোটামোটি ১১-১২ দিনের প্ল্যান করলে ভালো এতে ট্রেনে যাতায়াতে আপনার সাড়ে-৪ দিন চলে যাবে। হতে থাকবে মোটামোটি ৭ দিন এই ৭ দিনে আপনি মোটামোটি কেরালার অনেকটা এবং সাথে কন্যাকুমারী টাও করে নিতে পারেন। সবাই মোটামোটি এই প্ল্যান টায় করে আর আপনি যদি ট্রেন বদলে ফ্লাইটে আসেন তাহলে আপনার অনেকটা সময় বেঁচে যাবে। কিন্তু খরচা আবার একটু ধরুন বেড়ে যাবে। এবার এটা আপনাদের ঠিক করতে হবে আপনারা ঠিক কী করতে চান।
- ভিডিও টি দেখুন - মুন্নার কেরালা
কেরালা ট্যুর প্ল্যান :- আমি আগের পয়েন্টে বলেছি যে কেরালার বিভিন্ন ধরণের ট্যুর প্ল্যান হতে পারে, কেরালার যে জায়গায় ই আপনি যান না কেনো সব জায়গায়ই আলাদা আলাদা করে সুন্দর। তাও সবার সুবিধার জন্য আমি কেরালার কয়েকটা ট্যুর প্ল্যান করার চেষ্টা করেছি দিন হিসেবে সেগুলো তুলে ধরছি এবং শেষে আমাদের প্ল্যান, যেটা একটু আলাদা প্ল্যান সেটা তুলে ধরবো চলুন তাহলে এক এক করে আলোচনা করা যাক...
১। ৩ রাত ৪ দিন :- এই তিন রাত চার দিনের ট্যুর প্ল্যান কেরালা ট্যুরের সবচেয়ে কম দিনের ট্যুর প্ল্যান এর চেয়ে কমে কেরালা প্ল্যান করা বৃথা। এই ট্যুর প্ল্যানে থাকছে ১ রাতের জন্য আলেপ্পি এবং ২ রাতের জন্য মুন্নার।
এই প্লেন আপনি যদি ট্রেনে আসেন তাহলে ট্রেনে কোচিতে না নেমে, সরাসরি নামুন আলেপ্পিতে ।কোচি থেকে আলেপ্পি যেতে ১ ঘন্টা ১০ মিনিটের মত লাগে বেশি ও লাগতে পারে কিছু। চেন্নাই হয়ে আসলে প্রচুর আলেপ্পির ট্রেন পেয়ে যাবেন। আর যারা ফ্লাইটে আসবেন তাদের গাড়ি ভাড়া করতে হবে আলেপ্পি সহ মুন্নারের ৩দিনের জন্য। আলেপ্পি পৌঁছে স্টেশন থেকে আপনাদের বুক করা হোটেল বা হাউস বোটে চলে আসুন অটো করে অটো ভাড়া ২০০ বেশি দেবেন না। হোটেলে এসে ফ্রেস হয়ে আপনাদের তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়তে হবে ব্যাকওয়াটারস্ দেখতে এখানে দেখার মত এটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয়। আর তেমন কিছু নেই বিচ ছাড়া ।ব্যাকওয়াটারস্ এ শিকারা বোটে করে আপনাদের ঘুরতে হবে যেহেতু আপনি হাউসবোটে থাকছেন না। ফুল বোট ভাড়া ঘন্টা হিসেবে ৬০০-৮০০ মধ্যে ওঠা নামা করে ২ ঘন্টা ঘুরলে এনাফ। এবার কতজন থাকছেন তার ওপরে নির্ভর করছে।
Alleppey, Kerala |
আর যারা হাউস বোটে থাকবেন তাদের সমস্ত কিছু ওখানেই হবে বোট গুলো আপনাদের সারাদিন ঘুরিয়ে সন্ধ্যায় কোনো এক ঘাটে এসে থাকবে। ফুল এসি তিন বেলার ফুডিং, এবং বোট রাইড সহ এই হাউসবোট গুলির ভাড়া বিভিন্ন রকম হয় মোটামুটি ধরুন জনপ্রতি হিসেবে ৩০০০ থেকে স্টার্ট। সত্যি দারুণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন এই হাউসবোটে একদিন থেকে, খুবই সুন্দর এই হাউসবোট গুলি ভেতরের ডেকোরেশন থেকে বাইরের ডিজাইনও। সত্যি আলাদা একটা জগতে আপনি আছেন বলে মনে হবে।
ডে - 2:- পরের দিন সকাল ৮ টার ট্রেন ধরে আবার চলে আসুন কোচি মানে এরনাকুলাম স্টেশনে। স্টেশনের পাশে কিছু ব্রেকফাস্ট করে আপনাদের আগে থেকে বুক করা গাড়িতে সকাল ১০টা দিকে বেড়িয়ে পড়ুন মুন্নারের উদ্দেশ্যে। গাড়ি আপনারা একবারে ৩ দিনের জন্য বুক করবেন, যে গাড়ি আপনাকে মুন্নার পৌঁছে দিয়ে ওখানে সাইটসিং করিয়ে আবার এরনাকুলাম স্টেশনে ড্রপ করে দেবে, এরকম এসি গাড়ি ভাড়া নিতে পারে ৬০০০-৬৫০০ মধ্যে। এই রেট শীতকালে পিক সিজনে আরো বাড়তে পারে। প্রথম দিন মুন্নার যাওয়ায় পথেই আপনার কতগুলো সাইটসিং কমপ্লিট হয়ে যাবে রাস্তাতেই কোচি থেকে মুন্নার যাওয়ায় রাস্তা একদম স্বর্গ, রাস্তা একদমই চকাচক, তাতে আপনি যেই রাস্তা হয়েই যান না কেনো। মুন্নার পৌঁছতে সাইটসিং করে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টার মত।
Kochi to Munnar Road |
রাস্তায় প্রথমেই আপনার পাবেন Cheeyappra Falls এবং তারপর Valara Falls এবং সবশেষে স্পাইসগার্ডেন। Cheeyappra Falls টা খুব কাছ থেকে দেখতে পাবেন আর Valara Falls টা একটু দূরে, এ দুটো দেখতে বেশিক্ষণ লাগবে না, সময় লাগবে স্পাইসগার্ডেন দেখতে, রাস্তায় আপনারা প্রচুর স্পাইসগার্ডেন দেখতে পাবেন, ভিতরে গার্ডেন সামনে দোকান, কিন্তু ড্রাইভার আপনাকে তাদের ঠিক করা গার্ডেনেই দার করাবে যেটা থেকে ওনারা কমিশন পাবেন। তার আগে অবশ্যই রাস্তায় লাঞ্চ টা করে নেবেন ড্রাইভারকে বলে। মুন্নার তার বিভিন্ন ধরনের স্পাইসের জন্য বিখ্যাত। এই গার্ডেন গুলোতে আপনারা বিভিন্ন ধরনের মশলার গাছ, বিভিন্ন দূঃস্পাপ্য গাছ যেগুলো থেকে ঔষধ তৈরি হয় সেগুলো পাবেন ভালো লাগবে, খারাপ লাগবে না, তারপর সামনে দোকান থেকে সেইসব ক্রয় ও করতে পারবেন, দাম যা দেখলাম একটু বেশিই। এবার রাস্তায় আরো দুটো স্পট পড়বে এক হাতি সাফারি, কেরালা যার জন্য বিখ্যাত আর কেরালার শাড়ি, ও ধুতি তৈরির ফ্যাক্টরিতে ঢোকা এবং কিনতেও পারবেন। আপনি এগুলোতে যেতে না চাইলে সোজা হোটেলে চেক-ইন করে নেবেন দুপুর ৩টে মধ্যে পৌঁছে যাবেন মুন্নারে, হোটেল ফ্রেস হয়ে বিকেল ৪.৩০ আবার গাড়ি করে চলে আজকের লাস্ট স্পটে, কেরালা বিখ্যাত কথাকলি ড্যান্স শো এবং মার্শালআর্ট দেখতে। সেইজন্য টিকিট আপনাকে আগে যাওয়ায় সময়ে কেটে নেবেন ড্রাইভার আপনাকে বলে দেবে ওখানে ও ড্রাইভারদের কমিশন আছে। কথাকলির টাইম বিকাল ৫-৬ এবং মার্শালআর্ট ৬-৭। টিকিটের মূল্য ৩০০,৪০০,৫০০. সন্ধ্যা ৭ টায় বেরিয়ে সোজা চলে আসুন আপনাদের হোটেলে। প্রথমদিনের মুন্নার সফরের ইতি।
- ভিডিওটি দেখুন - পৃথিবীর সবচেয়ে ধনীতম মন্দির পদ্মনাভস্বামী।
Munnar Tea Garden. |
মুন্নারে দ্বিতীয় দিন :- মুন্নারের দ্বিতীয় দিনে আপনার লোকাল সাইটসিং। এর মধ্যে থাকছে রোজ গার্ডেন (৫০ টাকা), ইকো পয়েন্ট, টপ স্টেশন, ফটো পয়েন্ট, টি ফ্যাক্টরি ভিজিট, Mattupetty dam, এবং অপশনাল জিপ সাফারি (১০০০ পার হেড) এবং মুন্নারের বিখ্যাত চা বাগান গুলো অবশ্যই ভিজিট করবেন এখানকার চা বাগান গুলো কিন্তু আমাদের নর্থ বেঙ্গলের চা বাগান থেকে অনেকই আলাদা খুব ভালো ভাবে মেনটেইন করা, সুন্দর সাজানো গোছানো, সৌন্দর্য নিয়ে কোনো কথাই হবে না এখানেই চেন্নাই এক্সপ্রেস সিনেমার কাশ্মীর সে কন্যাকুমারী গানটা শুটিং হয়েছিল। রাস্তার দু পাস দিয়ে চা বাগান সত্যি অসাধারণ লাগবে। যাইহোক লাঞ্চ সেরে চলে আসুন মুন্নার সাইটসিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় যায়গা এভারিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক, এই পার্ক বিখ্যাত নীলাকুরিঞ্জী ফুলের জন্য যেটা ১২ বছর পরপর ফোটে যার থেকেই নাম হয়েছে নীলগিরি, আর নীলগিরি থার( হরিন) এর জন্য পৃথিবীর প্রায় ৬০% এই হরিণ এখানেই পাওয়া যায়। এখানে প্রবেশমূল্য ২০০ টাকা, বাস আপনাকে টিকিট কাউন্টার থেকে একদম পার্কের ভিতরে নিয়ে যাবে বাকিটা পথ আপনাকে হেঁটে উঠতে হবে ২ কি.মি মতো। এখানে থেকে দক্ষিণ ভারতের সর্বোচ্চ পর্বত আনাইমুদি ভালো ভাবে দেখতে পাবেন। মোটামোটি আবার দু ঘন্টা মত এখানে কাটিয়ে আবার বাসে করে ফিরে যাবেন টিকিট কাউন্টারের সামনে সেখান থেকে আপনাদের গাড়ি করে সোজা হোটেল আপনারা মুন্নার জার্নি সর্বোপরি কেরালা ৩ দিনের ট্যুর এখানেই শেষ।
Eravikulam National Park, Munnar. |
পরের দিন সকাল সকালে গাড়ি করে বেরিয়ে পড়ুন কোচির উদ্দেশ্যে সময়ে লাগবে ৩.৩০ ঘন্টা ।আপনার যদি ফেরার ট্রেন থাকে তাহলে ট্রেনে না হলে এয়ারপোর্ট নামবেন। ফেরার ট্রেন যদি রাতে থাকে তাহলে কোচি তে ফোর্ট কোচি টা ঘুরতে পারেন এবং ট্রেন বা ফ্লাইট ধরে কেরালার সুন্দর মনোরম স্মৃতি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা ফিরে যাবেন।
৬ রাত ৭ দিনের প্ল্যান :- এই প্ল্যানে আলেপ্পি ও মুন্নারের প্ল্যানের কোনো চেঞ্জ হবে না খালি একটু আগে পরে হবে। তার সাথে সাথে একদিন কোচি একদিন থেকরিতে পেরিয়ার ন্যাশনাল পার্ক, এবং শেষ দিন কন্যাকুমারী।
ডে-১ কোচি :- প্রথম দিন আপনার কোচি ভ্রমণের দিন, কোচিতে পৌঁছে হোটেলে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়ুন কোচি মেরিন ড্রাইভের উদ্দেশ্য, এখানে পৌঁছতে আপনি অটো ব্যাবহার করতে পারেন তাছাড়া গাড়ির সাথে যদি আপনি আগে থেকেই কথা বলা থাকে তাহলে আপনাদের ভাড়া করা গাড়িতেই চলে আসতে পারেন। মেরিন ড্রাইভ থেকেই আপনাকে বোটে করে এই ফোর্ট কোচি আসতে হবে।তাছাড়া আপনারা ফোর্ট কোচি আসার জন্য বাস ও পেয়ে যাবেন ।সুন্দর পরিচ্ছন্ন, দারুণ দারুণ সব রাস্তা এই নিয়েই ফোর্ট কোচি একসময় ডাচ এবং পরবর্তিতে ব্রিটিশদের উপনিবেশ। এখানে দেখার মত আপনারা পাবেন এশিয়ার প্রাচীনতম ক্যাথলিক চার্চ, ভাস্কর-দা-গামার সমাধি, ডাচ সিমেট্রি, ফোর্ট কোচি বিচ, বাসটিয়ান বাংলো, জিয়ুস সিনাগান, জৈন টেম্পল, indo-Portuguese museum, ভগবতী মন্দির, এবং সবশেষে আমরা দেখবেন চাইনিজ ফিশিং নেট, পুরোনো চাইনিজ টেকনোলজি ব্যবহার করে জাল দিয়ে মাছ ধরার পদ্ধতি, কোচি ই একমাত্র জায়গা পৃথিবীতে যেখানে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে এখনো ফিসিং করা হয়। এটা কোচিতে ট্যুরিস্টদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা গুলোর মধ্যে একটি। চাইনিজ নেটে দেখে, আবার একই পদ্ধতিতে সোজা চলে আসুন আপনাদের হোটেলে এবং এখানেই রেস্ট, পরের দিন আপনাকে যেতে হবে মুন্নার।
Kochi City |
ডে-২ মুন্নার :- পরের দিন ব্রেকফাস্ট করে ৯ - ৯.৩০ মধ্যে বেড়িয়ে পড়ুন মুন্নারের উদ্দেশ্যে ।গাড়ি আপনারা একবারে ৬ দিনের জন্য বুক করবেন, যে গাড়ি আপনাকে মুন্নার পৌঁছে দিয়ে ওখানে সাইটসিং করিয়ে থেকরি, আলেপ্পি ঘুড়িয়ে আবার এরনাকুলাম স্টেশনে ড্রপ করে দেবে, এরকম এসি গাড়ি ভাড়া নিতে পারে ১৩০০০-১৪০০০ মধ্যে। এই রেট শীতকালে পিক সিজনে আরো বাড়তে পারে। প্রথম দিন মুন্নার যাওয়ায় পথেই আপনার কতগুলো সাইটসিং কমপ্লিট হয়ে যাবে রাস্তাতেই কোচি থেকে মুন্নার যাওয়ায় রাস্তা একদম স্বর্গ, রাস্তা একদমই চকাচক, তাতে আপনি যেই রাস্তা হয়েই যান না কেন। মুন্নার পৌঁছতে সাইটসিং করে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টার মত।
রাস্তায় প্রথমেই আপনার পাবেন Cheeyappra Falls এবং তারপর Valara Falls এবং সবশেষে স্পাইসগার্ডেন। Cheeyappra Falls টা খুব কাছ থেকে দেখতে পাবেন আর Valara Falls টা একটু দূরে, এ দুটো দেখতে বেশিক্ষণ লাগবে না, সময় লাগবে স্পাইসগার্ডেন দেখতে, রাস্তায় আপনারা প্রচুর স্পাইসগার্ডেন দেখতে পাবেন, ভিতরে গার্ডেন সামনে দোকান, কিন্তু ড্রাইভার আপনাকে তাদের ঠিক করা গার্ডেনেই দ্বারা করাবে যেটা থেকে ওনারা কমিশন পাবেন। তার আগে অবশ্যই রাস্তায় লাঞ্চ টা করে নেবেন ড্রাইভারকে বলে। মুন্নার তার বিভিন্ন ধরনের স্পাইসের জন্য বিখ্যাত। এই গার্ডেন গুলোতে আপনারা বিভিন্ন ধরনের মশলার গাছ, বিভিন্ন দূঃস্পাষ্প গাছ যেগুলো থেকে ঔষধ তৈরি হয় সেগুলো পাবেন ভালো লাগবে, খারাপ লাগবে না, তারপর সামনে দোকান থেকে সেইসব ক্রয় ও করতে পারবেন, দাম যা দেখলাম একটু বেশিই। এবার রাস্তায় আরো দুটো স্পট পড়বে এক হাতি সাফারি, কেরালা যার জন্য বিখ্যাত আর কেরালার শাড়ি, ও ধুতি তৈরির ফ্যাক্টরি তে ঢোকা এবং কিনতেও পারবেন। আপনি এগুলো তে যেতে না চাইলে সোজা হোটেলে চেকইন করে নেবেন দুপুর ৩টে মধ্যে পৌঁছে যাবেন মুন্নারে, হোটেল ফ্রেস হয়ে বিকেল ৪.৩০ আবার গাড়ি করে চলে আজকের লাস্ট স্পটে, কেরালা বিখ্যাত কথাকলি ড্যান্স শো এবং মার্শালআর্ট দেখতে। সেইজন্য টিকিট আপনাকে আগে যাওয়ায় সময়ে কেটে নেবেন ড্রাইভার আপনাকে বলে দেবে ওখানে ও ড্রাইভারদের কমিশন আছে। কথাকলির টাইম বিকাল ৫-৬ এবং মার্শালআর্ট ৬-৭। টিকিটের মূল্য ৩০০,৪০০,৫০০. সন্ধ্যা ৭ টায় বেরিয়ে সোজা চলে আসুন আপনাদের হোটেলে। প্রথমদিনের মুন্নার সফরের ইতি।
ডে-৩ মুন্নার :- মুন্নারের দ্বিতীয় দিনে আপনার লোকাল সাইটসিং। এর মধ্যে থাকছে রোজ গার্ডেন (৫০ টাকা), ইকো পয়েন্ট, টপস্টেশন, ফটো পয়েন্ট, টি ফ্যাক্টরি ভিজিট, Mattupetty dam, এবং অপশনাল জিপ সাফারি (১০০০ পার হেড) এবং মুন্নারের বিখ্যাত চা বাগান গুলো অবশ্যই ভিজিট করবেন এখানকার চা বাগান গুলো কিন্তু আমাদের নর্থ বেঙ্গলের চা বাগান থেকে অনেকই আলাদা খুব ভালো bhabw maintain হয় সুন্দর সাজানো গোছানো, সৌন্দর্য নিয়ে কোনো কথাই হবে না এখানেই চেন্নাই এক্সপ্রেস সিনেমার কাশ্মীর সে কন্যাকুমারী গানটা শুটিং হয়েছিল। রাস্তার দু পাস দিয়ে চা বাগান সত্যি অসাধারণ লাগবে। যাইহোক লাঞ্চ সেরে চলে আসুন মুন্নার সাইটসিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় যায়গা এভারিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক, এই পার্ক বিখ্যাত নীলাকুরঞ্জী ফুলের জন্য যেটা ১২ বছর পরপর ফোটে যার থেকেই নাম হয়েছে নীলগিরি, আর নীলগিরি থার( হরিন) এর জন্য পৃথিবীর প্রায় ৬০% এই হরিণ এখানেই পাওয়া যায়। এখানে প্রবেশমূল্য ২০০ টাকা, বাস আপনাকে টিকিট কাউন্টার থেকে একদম পার্কের ভিতরে নিয়ে যাবে বাকিটা পথ আপনাকে হেঁটে উঠতে হবে ২ কি.মি মতো। এখানে থেকে দক্ষিণ ভারতের সর্বোচ্চ পর্বত আনাইমুদি ভালো ভাবে দেখতে পাবেন। মোটামোটি আবার দু ঘন্টা মত এখানে কাটিয়ে আবার বাসে করে ফিরে যাবেন টিকিট কাউন্টারের সামনে সেখান থেকে আপনাদের গাড়ি করে সোজা হোটেল আপনারা মুন্নার জার্নি সর্বোপরি কেরালা ৩ দিনের ট্যুর এখানেই শেষ।
ডে-৪ ঠেকরি :- সকাল ব্রেকফাস্ট করে হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়ুন আপনাদের নেক্সট ডেসটিনেসন ঠেকরির উদ্দেশ্যে মুন্নার থেকে যার দূরত্ব ৮৫ কিমি, সময় লাগবে ৩ ঘন্টা। ঠেকরি বিখ্যাত তার ওয়াইল্ড লাইফ আর স্পাইসের জন্য। ঠেকরিকে কেরালার স্পাইস-ব্যাগ ও বলা হয়। ঠেকরিতে হোটেলে পৌঁছে কিছুটা রেস্ট নিয়ে ফ্রেশ হয়ে করে চলুন আপনার ঠেকরির সাইটসিং গুলো করার উদ্দেশ্যে, প্রথমেই আপনারা যাবেন ঠেকরি যার জন্য বিখ্যাত সেই পেরিয়ার ন্যাশনাল পার্ক এখানেও আপনাকে ভিতরে বাসে করে যেতে হবে ভাড়া ২০০ টাকা। এছাড়া হাতি সাফারি এবং পেরিয়ার লেকে বোটিং টা অবশ্যই করবেন অসাধারণ ফিলিং আসবে। বোটিং করে আপনি একদম পেরিয়ার ন্যাশনাল পার্কের অনেক ভেতর পর্যন্ত যেতে পারবেন, ভাগ্য ভালো থাকলে আপনি হাতি, বাইসন, সাম্ভার ডিয়ার ও দেখতে পেতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক activity আছে যেগুলো একদিনে সম্ভব না, তাই বোটিং করে হোটেল পৌঁছে রেস্ট নিন কারণ পরের দিন আবার আপনাকে যেতে হবে নেক্সট গন্তব্যস্থল আলেপ্পির উদ্দেশ্যে ।
ডে-৫ আলেপ্পি :- ঠেকরির হোটেল থেকে আপনাকে খুব সকাল সকাল বেরোতে হবে কারণ আপনাকে যেতে হবে আলেপ্পি, কারণ আপনি যতো তাড়াতাড়ি পৌঁছেবেন তত ভাল করে এই জায়গা এবং তার ব্যাকওয়াটারস্ উপভোগ করতে পারবেন, যাই হোক ঠেকরি থেকে আলেপ্পি পৌঁছতে আপনার প্রায় ৪ ঘন্টা লেগে যাবে হোটেলে এসে ফ্রেস হয়ে আপনাদের তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়তে হবে ব্যাকওয়াটারস্ দেখতে এখানে দেখার মত এটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয়। আর তেমন কিছু নেই।ব্যাকওয়াটারস্ এ শিকারা বোটে করে আপনাদের ঘুরতে হবে যেহেতু আপনি হাউসবোটে থাকছেন না। ফুল বোট ভাড়া ঘন্টা হিসেবে ৬০০-৮০০ মধ্যে ওঠা নামা করে ২ ঘন্টা ঘুরতে এনাফ। এবার কতজন থাকছেন তার ওপরে নির্ভর করছে।
আর যারা হাউস বোটে থাকবেন তাদের সমস্ত কিছু ওখানেই হবে বোট গুলো আপনাদের সারাদিন ঘুরিয়ে সন্ধ্যায় কোনো এক ঘাটে এসে থাকবে। ফুল এসি তিন বেলার ফুডিং,এবং বোট রাইড সহ এই হাউসবোট গুলির ভাড়া বিভিন্ন রকম হয় মোটামুটি ধরুন জনপ্রতি হিসেবে ৩০০০ থেকে স্টার্ট। সত্যি দারুণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন এই হাউসবোটে একদিন থেকে, খুবই সুন্দর এই হাউসবোট গুলি ভেতরের ডেকোরেশন থেকে বাইরের ডিজাইন সত্যি আলাদা জগতে আপনি আছেন বলে মনে হবে।
ডে-৬ কন্যাকুমারী :- আলেপ্পি থেকে পরের দিন অর্থাৎ ছয় নম্বর দিনে আমাকে কোচি ফিরে আপনাকে সেদিন কন্যাকুমারী যেতে হবে। কোচি থেকে কন্যাকুমারী ট্রেনে যেতে ৬-৭ ঘন্টা সময় লাগবে। ট্রেনে যাওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে, তাছাড়া আপনারা গাড়ি রিজার্ভ ও করতে পারেন আর বাসের অপশন তো আছেই, কেরালা গিয়ে যা বুঝলাম আমি ওখানে সরকারি বাস মানে KSRTC বাস পরিষেবা খুবই ভালো, একদম অনটাইম পরিষেবা এবং সব জায়গায় যাওয়ায় জন্য বাস পাওয়া যায়। আপনারা যদি ট্রেন আলেপ্পি স্টেশন থেকেই ধরেন তাহলে আপনাদের ভাড়া করা গাড়ি কে ছেড়ে দিতে হবে এবং সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেকগুলো ট্রেন আপনারা পেয়ে যাবেন কন্যাকুমারী আসার জন্য। তাই সেদিন সকালে এত তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। ১২ টায় হোটেল চেকআউট। তাই স্নান ব্রেকফাস্ট করে হোটেলে লাগেজ রেখে কিছুটা সময় আরো কাটাতে পারেন, এখন ট্রেন কোন সময় থাকবে সেটা নির্ভর করবে আপনি কবে কন্যাকুমারী পৌঁছোছেন, দুপুরে মধ্যে ট্রেন ধরলে আপনি রাতেই পৌঁছোবেন আর রাতের ট্রেন ধরলে ভোরে ভোরে। সেদিনই ট্রেন ধরে কন্যাকুমারী পৌঁছে হোটেলে রেস্ট নিবেন এবং পরের দিন সারাদিনটা অর্থাৎ ৭ নম্বর দিনটি আপনি কন্যাকুমারী ঘুরে নিতে পারেন।
Kanyakumari |
ডে-৭কন্যাকুমারী সাইটসিং :- সাত নাম্বার দিনটা আপনি পুরো পেয়ে যাচ্ছেন কন্যাকুমারী ঘুরাঘুরি করার জন্য আপনারা যদি পরের দিন ফেরার ট্রেনের টিকিট বুকিং করে থাকেন তাহলে, তাহলে সারাদিন ভালো মত ঘুরে নিয়ে পরের ধীরে সুস্থে ট্রেন ধরতে পারবেন। কন্যাকুমারী থেকে ট্রেন খুব একটা বেশি নেই তাই পরের দিন যদি ট্রেন না পান তাহলে সেদিন ই যে ট্রেন পাবেন আপনাকে বুক করে নিতে হবে। কন্যাকুমারী তে ঘুরার জায়গা গুলো খুব বেশি দূরে না, তাই বিশেষ অসুবিধা হবে না। আর কন্যাকুমারী তে খাওয়ার মতো কিছু বাঙালি হোটেল ও পেয়ে যাবেন, সোনার বাংলা এবং আমার বাংলা। আমার সোনার বাংলাতে খেয়েছিলাম।
কন্যাকুমারীর দর্শনীয় স্থান :- কন্যাকুমারী সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হচ্ছে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল। এছাড়া আছে কন্যাকুমারী বিচ, কন্যাকুমারী পিয়ার, ত্রিবেনী সঙ্গম মানে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের মিলনস্থল, সুনামী মিউজিয়াম, রাম মন্দির, মা ভগবতী আম্মা মন্দির এখানে জামা খুলে প্রবেশ করতে হয়। এই কয়টি জায়গা একদম আসে পাশে। বিবেকানন্দ রক আপনাকে বোটে করে যেতে হবে ভাড়া ৫০ টাকা। বোটের টিকিট দেওয়া বিকাল ৪টা বন্ধ করে দেয় সেই জন্য এটা মাথায় রাখবেন, ১-২ ঘন্টা রক মেমোরিয়ালে কাটাতে পারবেন ভেতরে ঢোকার টিকিট ২০ টাকা আবার বোটে করে ফিরে এসে বাকিটা সময় এই জায়গা গুলোতে কাটাতে পারেন ।
তিরুবনন্তপুরম-১ দিন:- তিরুবনন্তপুরম একদিন বা দুদিন থেকে আসে পাশের আরো কয়েকটি জায়গা আপনারা এক্সফ্লোর করতে পারবেন একদিন থাকলে বা একদিনের বদলে দুদিন থাকলে মোটামোটি সমস্ত কিছুই আপনাদের দেখা হয়ে যাবে। তাহলে কিন্তু আপনাদের আরো দুটো বেশি লেগে যাবে, আমরা তিরুবনন্তপুরমে একদিন ছিলাম কন্যাকুমারী যাওয়ার আগে তাই ঠেকরি আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এবার আসুন দেখেনি তিরুবনন্তপুরমে কোন কোন জায়গা দেখার আছে, প্রথমেই পদ্মনাভস্বামী মন্দির, কোভালাম বিচ, আঝিমালা শিব মন্দির, পুভার আইল্যান্ডে 2 ঘণ্টার বোট রাইড, ভারকালা বিচ, জটায়ু মিউজিয়াম। তার মধ্যে যদি একদিনের জন্য ঘুরতে চান তাহলে একটা অটো বা গাড়ি রিজার্ভ করে প্রথমে পুভার বোট রাইড 2 ঘণ্টার জন্য ভাড়া ৩-৪ হাজার পার বোট। এরপর Azhimala মন্দির যেটা তে কেউ যায়না অবশ্যই এখানে যাবেন সমুদ্রের পাশে ৫২ফুট উচু শিবের অসাধারণ মূর্তি পাশেই আছে বিচ। এরপর লাঞ্চ করে বিকেল টা কাটাবেন কোভালাম বিচে তারপর হোটেলে এই স্পট গুলো একই রাস্তায় পড়বে তাই অসুবিধা হবে না। দ্বিতীয় দিন যাবেন জটায়ু পার্কে ৪২ কিমি ওটা ঘুরে এসে বিকেল টা কাটাতে পারেন ভারকালা বিচে। তারপর হোটেল ব্যাক। স্টেশন ও বাস স্ট্যান্ড একদম পাশাপাশি, পাশেই প্রচুর হোটেল আছে বিভিন্ন দামের কোনো অসুবিধা হবে না আগে থেকে বুক করেও আসতে পারেন। নেক্সট দিন সকালে ট্রেন আছে কন্যাকুমারী যাওয়ার।
।
Azhimala Shiva Temple |
Kovalam Beach |
গাড়ি বুকিং:- কেরালা ভ্রমনের ক্ষেত্রে গাড়ি প্রি বুকিং করা অত্যন্ত জরুরি। শুধু মুন্নার ও আলেপ্পির ঘুরার জন্য ৩ রাত ৪ দিনের প্যাকেজ করলে গাড়ি ভাড়া নিতে পারে ৭০০০ টাকা। এর বাইরের গেলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে। এখানে এক্সট্রা কি.মি ১৫-১৭ পার কি.মি চার্জ করে এটাই সরকারি নিয়ম। গাড়ি বুকিং এর জন্য বিভিন্ন এজেন্সি আছে তারা ভালো সুবিধা দেয় আমি দুটো এজেন্সির নাম্বার দিয়ে দিচ্ছি আপনারা ফোনে বুকিং করে নিতে পারেন..
1.Amazing Kerala -+91 90741 28938
2 Peepar Kerala - +919497177774,+919947777166
3. Driver number - +91 62828 53143/+91 95269 71040
হোটেল এবং খাওয়া :- আমরা কেরালা তে যে সমস্ত হোটেলে ছিলাম তার কিছু details আমি দিচ্ছি...
1. মুন্নার - 04865263204/9497025001 এই হোটেল থেকে ভিউ দারুণ রুম ও ভালো, ভাড়া 1200/day.
আরো একটা হোমস্টে নাম আমি বলছি এখান থেকে ও ভিউ দারুণ মিডিয়াম ক্যোয়ালিটি, খালি 300 মিটার হাঁটাপথ - Munnar Hotel Nature Dale Plantation Villa-+91 72002 24393.
2. আলেপ্পি তে - Chaandhni Lake View Alleppey - +91 62351 35102. একদমই ব্যাকওয়াটারস্ এর পাশে খুবই ভালো পরিষেবা সাথে সুইমিং পুলের ও ব্যবস্থা আছে,ব্রেকফাস্ট দিয়ে এসি রুম 2000 টাকা।
3. তিরুবনন্তপুরমে হোটেল বুক করার একদমই দরকার নেই বাস স্ট্যান্ড বা স্টেশন (দুটো পাশাপাশি) থেকে বের হলেই প্রচুর হোটেল সামনে পেয়ে যাবেন। 1.HOTEL Chola International- 0471 233 4334
2.Hotel Horizon-0471 405 5555
3.All Seasons Guest House-8921680842
4.কন্যাকুমারী হোটেল - হোটেল বালাজি - 04653 248 333. এসি রুম - 900 এবং নন এসি - 600।
Munnar Hotel Balcony |
Munnar homestay |
Alleppey Resort. |
Kon kon hotel e chhilen ebong kothai kheyechilen, ar houseboat booking kivabe hoi egulo janaben please, october 10-15 er moddhe jaoa ta ki anukul hobe?
উত্তরমুছুনহাউস বোট বুকিং গুগল সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন আমরা ছিলাম না হাউস বোটে। হোটেল বুকিং. কম থেকে করেছিলেন প্রচুর অপশন আছে দেখে নিয়ে আপনাদের পছন্দ মত করতে পারেন। অক্টোবরে ও কিন্তু গরম থাকবে। h
উত্তরমুছুনকেরালা ভ্রমণের খরচা, হোটেল, খাওয়ার b ব্যাপার নিয়ে আলাদা একটা ব্লগ লিখব ওটা দেখতে পাবেন কয়দিন পর।
উত্তরমুছুনবাঙালি খাবার পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে ? খরচ কত হবে, জানতে পারলে ভালো হতো।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন