চারধাম যাত্রার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। চারধাম যাত্রা-উত্তরাখন্ড। Chardham Yatra Uttrakhand। All Information about Chardhan Yatra.

 

 চারধাম যাত্রা- উত্তরাখন্ড 



ভ্রমণ পিপাসু:- উত্তরাখন্ডের গাড়োয়ালের চার প্রধান মন্দিরকে একত্রে চারধাম বলে । এই চারধাম দর্শন করাকে খুবই পূন্যের কাজ ধরা হয়। সেই জন্য মে মাস শুরু হতে না হতেই পূনার্থী থেকে শুরু করে হাজার হাজার পর্যটকদের ঢল নামে এই সময়ে। সরকার থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয় এই চারধাম যাত্রাকে সুস্থ ভাবে সম্পন্ন করার জন্য। এই চার ধামের মধ্যে কোন কোন ধাম পড়বে আসুন জেনে নেই..

প্রথমে আসবে যমুনোত্রি ধাম, যেখানে বলা হয় মা যমুনার উদ্গমস্থল, এখানে মা যমুনার মন্দির আছে যেখানে ট্রেক করে যেতে হয়।

দ্বিতীয়তে আসবে গঙ্গোত্রী ধাম। এখানে মা গঙ্গার মন্দির বিদ্যমান। গঙ্গোত্রীর, গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে মা গঙ্গার উৎপত্তি হয়েছে, যেখানে ১৬ কি.মি পথ পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

তৃতীয় ধামে আসবে উত্তরাখন্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কেদারনাথ ধাম।কেদারনাথ ধামের ওপরে চোরাবাড়ি হিমবাহ থেকে মন্দাকিনি নদীর উৎপত্তি হয়েছে। বাবা কেদারের মাহাত্য অনেক। গৌরীকুন্ড থেকে হেঁটে ১৬ কি.মি পথ অতিক্রম করে কেদারনাথে পৌঁছোতে হয়। 

চতুর্থ ধাম তথা শেষ ধামে আসবে বদ্রীনাথ যাকে মর্ত্যের বৈকুন্ঠ ধামও বলে। এখানে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। অলকানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই ধাম চারধামের মধ্যে শেষ ধাম।

Chardham, Uttarakhand. 


চারধাম যাত্রা কেমন করে শুরু করবেন, সময় কত দিন লাগবে :- চারধাম যাত্রা শুরু করার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে পৌঁছতে হবে হরিদ্বার। ভারতের প্রায় সমস্ত ছোটো বড় শহর থেকেই এখানে আসার ট্রেন পেয়ে যাবেন। নাহলে দিল্লী থেকেও ট্রেন বাস পেয়ে যাবেন। ফ্লাইটে আসতে হলে আপনাকে নামতে হবে দেরাদুনের। আপনি যদি বাসে যাত্রা করার কথা ভাবেন তাহলে যাত্রা হরিদ্বার থেকেই শুরু করতে হবে। প্যাকেজ ও করতে পারেন নাহলে সমস্ত জায়গার বাস পেয়ে যাবেন। চারধাম যাত্রা করতে আপনার হরিদ্বার থেকে হরিদ্বার ১১ দিন সময় লাগবে। এর চেয়ে কম সময়ে ও অনেকে করে কিন্তু শরীরের ওপরে তাতে যথেষ্ট চাপ পড়ে। 

যমুনোত্রি ধাম :- চার ধাম যাত্রার প্রথম ধাম, যমুনোত্রি আপনাদের প্রথম গন্তব্যস্থল। হরিদ্বার থেকে আপনাদের ভাড়া করা গাড়ি করে প্রথমে পৌঁছতে হবে বরকোট যার দূরত্ব হরিদ্বার থেকে ১৮০ কি.মি। সময় লাগতে পারে ৬ ঘন্টা। প্রথম দিন আপনাকে বরকোটেই হোটেলে থাকতে হবে থাকার মতো বরকোটে কিছু হোটেল এবং হোমস্টে ও পেয়ে যাবেন, কিন্তু ভাড়া এখানে কিন্তু সামান্য বেশি, মোটামুটি ধরুন ১০০০ টাকা থেকে স্টার্ট। কারণ এখানে হোটেল ব্যবসা মাত্র ৬ মাসের জন্যই হয়। বরকোটে রেস্ট নিয়ে পরের দিন আপনাকে যেতে জানকী চট্টির উদ্দেশ্যে। এখান থেকেই আপনার যমুনোত্রির যাত্রা শুরু হবে মানে ট্রেক। ট্রেক কিন্তু বেশি না, মাত্র ৫-৬ কি.মি, সময় লাগবে ৩-৩.৩০ ঘন্টা । যে গাড়ি করে এসেছিলেন ওই গাড়ি করেই চলে আসুন জানকীচট্টি, তারপর হেঁটে পৌঁছে যান যমুনোত্রি। এখানেই যমুনা মাতার মন্দির অবস্থিত। আর এখানেই যমুনা নদীর উদগমস্থল। এখানে পৌঁছে যমুনা মাতার মন্দিরের মাতার দর্শন করে, আসে পাশে কিছুটা সময় কাটিয়ে ছবি তুলে আবার হেঁটে ফিরে চলে আসুন জানকীচট্টিতে। যমুনোত্রি তে দেখার মতো আরো কয়েকটি জায়গা আছে যেমন - হনুমানচট্টি, হনুমান-গঙ্গা আর যমুনা নদীর সঙ্গম। সূর্যকুণ্ড, দিব্য-শিলা। রাস্তায় কিছু শুকনো খাওয়ার সাথে থাকলে ভালো, নাহলে জানকীচট্টি তে কিছু হালকা একটা খেয়ে গাড়ি করে চলে আসুন আবার বরকোটে আপনার হোটেলে। সেদিনের মত আবার রাতে ওখানেই রাত্রিবাস। মোটামোটি ধরুন যদি সকালে রওনা দেন তাহলে বিকেলের মধ্যে আবার ফিরে চলে আসতে পারবেন বরকোটে। এভাবেই আপনার চারধাম যাত্রার দ্বিতীয় দিনের সমাপ্তি ঘটবে।

বরকোটে কিছু হোটেলের নাম ও নাম্বার -

1.Hotel Arachana-01246201531

2. Hotel devbhoomi-08171754463

3. Chouhan Annexi- 01375224276

4. Hotel Sanskar - 09917920879/09410320984

গঙ্গোত্রী ধাম:- পরের দিন আপনার যাত্রা শুরু হবে গঙ্গোত্রী ধামের উদ্দেশ্যে। সেইজন্য আপনাকে যেতে হবে উত্তরকাশি, উত্তরকাশি জেলাতেই অবস্থিত গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রি ধাম। যাইহোক বরকোট থেকে উত্তরকাশির দূরত্ব ৮০ কিমি। সময় লাগতে পারে ৩ থেকে সারে ৩ ঘন্টা। উত্তরকাশি তেই সেদিনকার মত আপনার রাত্রিবাস। আমি আপনাকে পরামর্শ দেবো উত্তর কাশিতে সেদিন না থেকে আরো ১০-১৫ কিমি এগিয়ে হরসিলে থাকতে পারেন,আমরাও তাই করেছিলাম, ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত সুন্দর একটি জায়গা হরসিল, জায়গাটি আপেল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত হলেও আরো পপুলার হয়েছে একটি সিনেমার জন্য। সিনেমারটির নাম হলো 'রাম তেরি গঙ্গা ম্যালি'। এর পর থেকেই প্রচুর পর্যটক এখানে আসা শুরু হয়েছে, এখানে থাকার আরো একটা সুবিধে হল আপনি পরের দিন আরো তাড়াতাড়ি গঙ্গোত্রী পৌঁছে যেতে পারবেন। তাছাড়া উত্তরকাশিতে যদি থাকতে চান, ওখানেও থাকতে পারেন ভাগীরথী নদীর তীরে সুন্দর সাজানো গোছানো একটা শহর, এখানে পৌঁছে কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে, ঘুরে আসুন কাশি বিশ্বনাথ মন্দির থেকে।, তাছাড়া এখানে একটা ভিউ পয়েন্ট আছে যেটা থেকে পুরো শহরটাকে দেখা যায়। এবং আরো প্রচুর দেখার মত মন্দির পেয়ে যাবেন। এভাবেই আপনার চারধাম যাত্রার তৃতীয় দিনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। 

চতুর্থ দিন সকাল সকাল উঠেই গাড়ি করে চলে আসুন গঙ্গোত্রী সেখানে মা গঙ্গার মন্দির থেকে দর্শন করে সকালের খাওয়ায়টা খেয়ে ফেলুন। পাশেই গঙ্গা নদী মানে ভাগীরথী, এখান থেকে গঙ্গা জল নিয়ে নিতে পারেন। তারপর আবার গাড়ি ধরে চলে আসুন উত্তরকাশি, চতুর্থ দিন আপনার উত্তরকাশি তেই স্টে করুন।

উত্তরকাশি তে কিছু হোটেলের নাম ও নাম্বার -

 1. Hotel Janvi - 08477082271

2. Hotel Viswanath-01374222893

3. 5-Eliment Hotel - 09891158725.

4.Panwar Bhaban - 09690761838

5. Sundar homestay Harshil - 09027209448

6. Prakriti The Reatreat- 08006015050

Gangotri Dham


কেদারনাথ ধাম :- পঞ্চম দিন আপনাকে যেতে তৃতীয় ধাম, আমাদের সকলেরই জীবনে একবার ইচ্ছা থাকে এখানে যাওয়ার সেই কেদারনাথে। কেদারনাথ যাওয়ার জন্য আপনাকে উত্তরকাশি থেকে পৌঁছতে হবে শোনপ্রয়াগ, গুপ্তকাশি, সীতাপুর, ফাঁটা। এত গুলো জায়গার নাম কেনো বললাম তার কারণ আছে। গাড়ি আপনার শোনপ্রয়াগ পর্যন্তই যায়। কিন্তু এবার কেদারনাথ যাওয়ার জন্য যতো ভিড় হচ্ছে তাতে শোনপ্রয়াগ বা গৌরীকুন্ডে হোটেল নাও পেতে পারেন পেলেও অনেক হাই রেট হবে। তাই কিছুটা আগে সীতাপুর বা গুপ্তকাশিতে তে থাকলে হোটেল এর availablity অনেক বেশী হবে সেই জন্যই এটা বলা। তাছাড়া আপনারা যদি হেলিকপ্টার তে যেতে চান তাহলে আপনাকে ফাটা বা গুপ্তকাশিতেই নামতে হবে। কেদারনাথ নিয়ে সমস্ত তথ্য আলাদা একটা ব্লগ আছে নিচে তার লিঙ্ক দিলাম দেখে নেবেন, বিস্তারিত ভাবে সব বলা আছে- কেদারনাথ যাত্রার সম্পূর্ণ তথ্য

পঞ্চম দিন আপনার শোনপ্রয়াগ, ষষ্ঠ দিন কেদারনাথে এবং সপ্তম দিন কেদারনাথ থেকে নেমে আবার শোনপ্রয়াগে স্টে করতে হবে আপনাকে।

Kedarnath Dham. 

বদ্রীনাথ ধাম :- অষ্টম দিনে আপনার যাত্রা শুরু হবে বদ্রীনাথের উদ্দেশ্যে। শোনপ্রয়াগ থেকে বদ্রীনাথের দূরত্ব ২৩০-২৪০ কি.মি। সময় ভালই লেগে যাবে ৭-৮ ঘন্টার মত। সেই জন্য আপনাকে খুব সকালেই বেরোতে হবে শোনপ্রয়াগ থেকে। বদ্রীনাথে পৌঁছে আপনাকে থাকার কোনো অসুবিধা হবে না। প্রচুর হোটেল, আশ্রম, ধর্মশালা আপনারা পেয়ে যাবেন। সেদিন বদ্রীনাথে পৌঁছে পুরো রেস্ট নিন।

নবম দিন সকালে উঠেই সকাল সকাল সকাল বদ্রী-বিশালের দর্শন করুন। কারণ ভিড় খুব হয়। বদ্রীনাথে মন্দির দর্শন করা ছাড়াও আরো অনেক কিছু আছে তার মধ্যে বসুধারা ফলস্, এবং ভারতের শেষ গ্রাম -'মানা'। বসুধারা ফলস্ আপনাকে ট্রেক করে যেতে হবে তারজন্য আরো একটা এক্সট্রা দিন লেগে যাবে। মানা গ্রাম ঘোরার জন্য মোটামুটি ৩ ঘন্টা যথেষ্ট। মানা গ্রামে দেখার মত প্রচুর জায়গা আছে, মহাভারত কাহিনী সম্বন্ধিও বিভিন্ন জায়গা ভারতের শেষ চায়ের দোকান, সরস্বতী নদীর উদগমস্থল প্রভৃতি । নিজেদের ভাড়া করা গাড়ি থাকলে তো ভালোই, নাহলে ওখানে লোকাল গাড়ি ভাড়া করতে হবে আমাদের সময়ে 500 টাকা ভাড়া নিয়েছিলো। যাইহোক মানা গ্রাম ঘুরে এসে বদ্রীনাথে কিছু একটা খেয়ে বেরিয়ে পড়ুন যোসিযঠের উদ্দেশ্যে। দূরত্ব ৪৬ কি.মি। সময় লাগবে প্রায় ২ ঘন্টা। নবম দিন আপনাকে যোসিযঠেই থাকতে হবে, আর হাতে যদি আরো সময়ে থাকে তাহলে আরো একটু এগিয়ে পিপলকোটি বলে একটা জায়গা আছে। ওখানে থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন। কারণ পরের দিন আপনাকে হরিদ্বার পৌঁছতে কম সময় লাগবে। পরেরদিন সকালে উঠে ব্রেকফাস্ট করে সন্ধের মধ্যে পৌছে যান হরিদ্বার। রাস্তায় পঞ্চপ্রয়াগের সব গুলোই দেখতে পাবেন। হরিদ্বার পৌঁছে সেদিন ওখানেই রাত্রিবাস। এভাবেই আপনার ৯ রাত ১০ দিনের চারধাম যাত্রার সমাপ্তি ঘটবে।পরের দিন বাড়ি ফেরার পালা। সকলেই চারধাম যাত্রার মধুর স্মৃতি নিয়ে ফিরে চলুন আপনাদের নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে।

বদ্রীনাথের কিছু হোটেলের নাম ও নাম্বার - 

1. Janki guest house - 09411555625

2. Bharat Sevasaram Sangha- 01381222242

3. Baikuntha Dham lodge - 08285224004

4.Narayan Palace hotel - 09412058824

Badrinath Dham


চারধাম যাত্রার খরচা :- চারধাম যাত্রা কিন্তু মোটামুটি ১০ রাত ১১ দিনের, অনেকটা পথ আপনাকে অতিক্রম করতে হবে। তাই যথেষ্ট খরচা সাপেক্ষ ব্যাপার। যদি খরচা আপনারা বাচাতে চান তাহলে দু-ধাপে এটা করতে পারেন। প্রথম বার যমুনোত্রি, গঙ্গোত্রী একসাথে দ্বিতীয় বারে কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ। এটা করলে এক, আপনার খরচা একটু হলেও কমবে টাইম বের করতে পারবেন আর সাথে সাথে আপনার শরীরের ওপরের এত চাপ পড়বে না। উত্তরাখন্ড সরকারের ট্যুর প্যাকেজে যদি আপনারা যান তাহলে খরচা ধরুন ২০০০০-২৫০০০ টাকার মধ্যে পড়বে। এটা প্যাকেজ ট্যুরের খরচা । নিচে লিঙ্ক দিয়ে দিলাম বুকিং এর জন্য..

এছাড়াও আরো ব্যবস্থা আছ বাসে করে চারধাম যাত্রা এতে খরচা একটু কমবে। তাছাড়া আপনারা নিজেই গাড়ি বুক করে নিতে পারেন সব নিজেদের প্ল্যানে আমার ব্লগ টা পড়ে হয়তো কিছুটা ধারনা পেয়েই গেছেন। নিজেদের সুবিধা, অনেক স্বাধীনতা আছে যেটা আপনারা প্যাকেজ ট্যুরে পাবেন না। গাড়ি ভাড়া কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হতে পারে। মনে রাখা দরকার, এই চারধাম যাত্রা কিন্তু বছরের ৬ মাসই সেই জন্য গাড়ি ড্রাইভার থেকে শুরু করে হোটেল মালিকরা চেষ্টা করে এই ছয় মাসেই পুরো বছরের খরচা উঠিয়ে নেওয়ার। সেই জন্যই চড়া হারে দাম হাঁকতেও পারে আপনাকে দরদাম করে ঠিক করে নিতে হবে। গাড়ি ভাড়া ডেইলি ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ও হতে পারে পুরোটাই নির্ভর করছে সিজন আর গাড়ির উপর। অফ সিজনে একটু কম পাবেন, মে জুন মাসে দাম খুব বেশি থাকে। এবছর তো সেটা আরোই বেশি।

আরো পড়ুনকেদারনাথ যাত্রার সম্পূর্ণ তথ্য

কিছু গাড়ি ড্রাইভারের নাম্বার দিলাম আপনারা চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন.

1. মনীশ - 9719259338

2.হরিশ- 9837688385

3. সঞ্জয় সিং - 7037333609

4. প্রিতমবর সিং - 8954614955

5. নরেশ- 9389311557.

6.চারধাম ট্যাক্সি সার্ভিস - 7906650952

৭. অঙ্কিত- 7076400566. 

চারধাম যাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নাম্বার -

1. Uttarakhand Tourism development board - 0135-2559898/ 0135- 2552628

2. Pilgrims helpline for Kedarnath - 8534001008

3. Pilgrims helpline for badrinath - 8979001008

4. DM Rudraprayag- 01364233300.

5. Badrinath - kardarnath temple committee badrinath - 01381222205

গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রি ধাম এর জন্য -

1. Head of taxy union uttarkashi - 01374-222399

2. Head of taxy union Badkot - 01375-224688

3. DM Uttarkashi - 01374-222280.

4. Tourist information center Uttarkashi - 01374-274761


1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন