25 শে ডিসেম্বর এর বদলে 6 ই জানুয়ারি বড়োদিন পালিত হয় যেই চার্চে। এমন টাই হয় চুঁচুড়ার আর্মেনিয়ান চার্চে।

 ভ্রমণ পিপাসু:- সালটা ছিলো 1695 চুঁচুড়ার শেষ ডাচ গভর্নর ড্যানিয়েল অ্যান্টনি ওভারবেক এই চার্চের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, তৎকালীন আর্মেনিটোলা বর্তমানে মোগলটুলি এলাকায়। ইতিহাস বলছে বাংলার প্রাচীনতম চার্চ হুগলির ব্যান্ডেল চার্চ যা 1599 খ্রিস্টাব্দে প্রতিশ্রুতি হয়। আর দ্বিতীয় চার্চ হুগলিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় চুঁচুড়ার আর্মেনিয়ান চার্চ। 






      এই চার্চে 25 ডিসেম্বর বড়দিন পালন হয়না, পালন হয় 6 ই জানুয়ারি। কারণ 6 ই জানুয়ারি সেন্ট জন কর্তৃক ব্যাপ্টিসম বা শুদ্ধিকরণ লাভ করেন, প্রভু যীশু, সেইজন্য ওইদিনই প্রভু যীশুর জন্মদিন ধরে বড়োদিন পালন করে আর্মেনিয়ানরা। এই চার্চের পাশাপাশি আরো অন্য অন্য সব আর্মেনিয়ান চার্চেও এই দিনই প্রভু যীশুর জন্মদিন পালন করে আর্মেনিয়ানরা।


         সেইদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে আর্মেনিয়ানরা এই চার্চে এসে প্রার্থনা করলেও সেইদিন চুঁচুড়া বাসি তথা সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি মেলে না। এই চার্চে সাধারণ মানুষের প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই চার্চে এখনো বর্তমান রয়েছে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির আঁকা একটি ছবি, তাছাড়া ও গুরুত্বপূর্ণ কিচ্ছু ঐতিহাসিক সামগ্রী, যার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেই হাতছানি পায়নি আম জনতা। ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা চিন্তা করে অনেকদিন ধরেই চুঁচুড়া বাসি দাবি করে আসছে এই চার্চে প্রবেশাধিকারের। চার্চ কর্তৃপক্ষ সত্যই একদিন এই দাবী মেনে নেয় কিনা সেটাই দেখার। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন