হেরিটেজ বিল্ডিং এর তকমা পাবে রায়গঞ্জের বাহিন জমিদার বাড়ি।খুশির খবর জেলা বাসির জন্য।

 ভ্রমণ পিপাসু :- রায়গঞ্জের 8 নং বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহার সংলগ্ন নাগর নদীর পাড়ে নির্মিত বাহিন জমিদারবাড়ি যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জমিদার শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরী। বর্তমানে জরাজির্ণ এই জমিদারবাড়ি রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের আন্ডারে আসার খবরে আশায় বুক বাঁধছে জেলা তথা উত্তরবঙ্গ বাসি। কারণ এই জমিদারবাড়ি উত্তরবঙ্গের এই চিরপরিচিত জায়গা।


          ইটাহারের চুরামন রায়চৌধুরী পরিবারের শরিকরা এই জমিদার বাড়িটি তৈরী করেন প্রায় 400 বছর আগে। জমিদার রুদ্রপ্রসাদ চৌধুরী উত্তরাধিকারীরা বাহিন প্রাসাদ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই এই বাড়ি অযত্নে পরে আছে। তখন থেকেই এই জমিদারবাড়ি ভরত সেবাশ্রম সংঘের তত্ত্বাবধানে থাকলেও দিনের পর দিন অযত্ন ও অবহেলায় এই বাড়িটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

         এই জমিদারবাড়ি টিকে হেরিটেজ কমিশন মাধ্যমে সংস্কার করার জন্য তৎপরতা আজকে থেকে না অনেকদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছিলো। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক বৃন্দাবন ঘোষের পক্ষ থেকে 2006, 2010 সালে 2 বার হেরিটেজ কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছিলো যাতে এই বাড়িটিকে সংস্কার করা হয়, 2015 তে একবার DPR ও জমা দেওয়া হয়েছিল কাজ তখন কিছুটা এগলেও বেশিদূর আগায় নি। 2 বারই এটি ধামাচাপা পরে যায়। কিছুদিন আগেই আবার রায়গঞ্জের বর্তমান বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানীর পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে হেরিটেজ কমিশনের আবারও আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের প্রত্তুতরে হেরিটেজ কমিশনের পক্ষ থেকে তৎপরতা শুরু হয়েছে, আশা করা হচ্ছে এবার এই জমিদার বাড়ি কিছুটা হলেও জীর্ণদশা থেকে মুক্তি পাবে। জমিদারবাড়ির একটা ঘর ভালো ভাবে সংস্কার করে মিউজিয়ামের মত করলে সেটা আরো ভালো হয়। যদিও বর্তমানে এখানে একটা ঘুরে পুলিশ আউট পোস্ট আছে। 

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন