ভ্রমণ পিপাসু :- মনে করা হয় হুগলির ত্রিবেনীর জাফর খাঁ গাজীর সমাধিই বাংলা তথা অবিভক্ত বাংলার প্রথম মসজিদ।
ইতিহাস:- জাফর খাঁ গাজী ছিলেন দিল্লির সুলতানের সেনাপতি (সেই সময়ে আলাউদ্দিন খিলজি ছিলেন দিল্লির সুলতান) তিনি সেই সময়ে হুগলির সপ্তগ্রাম, ত্রিবেনী অঞ্চল থেকে হিন্দু রাজাকে পরাজিত করে মুসলিম শাসনের(1298-1313AD)সূত্রপাত করেন । 1298 তেই তিনি এখানে একটা মসজিদ নির্মাণ করেন, মনে করা হয় ওই স্থানেই একটা হিন্দু মন্দির ছিল যা ধ্বংস করেই এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়, যার ছাপ সুস্পষ্ট লক্ষ করা যায় এই মসজিদের দেওয়ালে। আবার অনেকের মতে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি প্রাচীন মন্দির ধংস করেই তার সামগ্রী দিয়েই এই দশ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ নির্মিত হয়।
মসজিদ নির্মাণে ব্যবহৃত পাথরগুলি যে হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি করা তার অসংখ্য প্রমাণ দেখতে পাওয়া যায়। কিছু সংস্কৃত লিপি ও প্রাচীন বাংলা লিপি ও খোদাই করা আছে তা দেখা যায়। শেষপর্যন্ত 1313 সালে পার্শ্ববর্তী এক হিন্দু রাজার সাথে যুদ্ধে তিনি প্রাণ হারালে মসজিদের পাশেই তার এক আচ্ছাদন বিহীন সমাধি নির্মিত হয়। এখানে তার সমাধির পাশাপাশি তার বড় ছেলে বরখাখান গাজী, তার হিন্দু পুত্রবধূ, এবং ছোটো ছেলের সমাধি ও বিরাজমান। এই পুত্রবধূর প্রভাবেই পরবর্তীতে যথেষ্ট শ্রদ্ধাবান হয়েছিলেন এবং নিজে মা গঙ্গার পুজো ও করতেন।
কেমন করে যাবেন :- হাওড়া- কাটোয়া লাইনে পড়বে এই ত্রিবেনী স্টেশন, ব্যান্ডেলের খুব কাছেই মাত্র 2 টা স্টেশন পরেই এই ত্রিবেনী। কাটোয়া লোকাল ধরে আসতে হবে ভাড়া মাত্র 5 টাকা ব্যান্ডেল থেকে। স্টেশন থেকে টোটো তে ১০ টাকা। কেউ চাইলে বাঁশবেড়িয়া থেকেও আসতে পারেন একদম হংসেশ্বরী মন্দির দেখে ও অটো করে আসতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন